২৬শে মার্চ এর বক্তব্য, ভাষণ । স্বাধীনতা দিবসের সংক্ষিপ্ত বক্তব্য – 26th March Speech

আসছালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠক সবাই কেমন আছেন। আস করি সবাই ভালো আছেন। প্রিয় পাঠক সামনে আসছে মহান স্বাধীনতা দিবস ২৬ শে মার্চ।

এই দিনে আমাদের দেশে ভিবিন্ন জায়গায় অনুষ্ঠান হয়। আর সেই অনুষ্টানে ২৬ শে মার্চ এর বক্তব্য /ভাষন অনেকের দিতে হয়। আর সুন্দর করে সাজিয়ে সবাই তো আর বক্তব্য দিতে পারে না তাই আজকে আমরা ২৬ শে মার্চ এর বক্তব্য -২৬ শে মার্চ এর ভাষণ  স্বাধীনতা দিবস বক্তব্য/ভাষন শেয়ার করবো।

স্বাধীনতা দিবসে বক্তব্য দেওয়ার ক্ষেত্রে লক্ষণীয়

শুধু স্বাধীনতা দিবসেই নয়, অন্যান্য সকল দিবস উপলক্ষে বক্তব্য দেওয়ার সময় সবার আগে আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে আপনার বক্তব্যের সময় যেন খুব কম হয়।

এতে করে আপনার বক্তব্য গুছিয়ে ব অলতে যেমন সহজ হবে তেমন শ্রোতারা আপনার কোথায় ব ইরক্ত হবে না।

আর উপস্থিত বক্তব্য সাধারণত অনেক কম সময়ের হয়ে থাকে।

আমারা যারা কোনও বিষয়ে বক্তব্য দেই তখন আমরা অল্প কথার মধ্যে সেই কথাতি গুছিয়ে বলতে চেষ্টা করি না। তাই আমাদের বক্তব্য সুন্দর হয় না।

এজন্য আপনি যে বিষয়ে বক্তব্য দিবেন সেই বিষয়কে আপনার সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের মধ্যে শুরু থেকে শেষ সংক্ষেপে উল্লেখ করতে হবে।

এরপর আপনার খেয়াল রাখতে হবে আপনি যে বিষয়ে বক্তব্য দিবেন সেই ঘটনার সকল তারিখ এবং সাল উল্লেখ করতে হবে।

শুধু মাত্র সাল বললেই আপনার বক্তব্যের মান তুলনামুলক কম হবে।

তাই অবশ্যই ক্রমান্বয়ে ঘটনটার সাথে সম্পৃক্ত সকল সাল তারিখ স্পষ্ট ভাবে উল্লেখ করতে হবে।

আপনি ২৬ শে মার্চ এর বক্তব্য দিতে মঞ্চে উঠলেন, কিন্তু আপনি ২৬ শে মার্চ সম্পর্কে যথেষ্ট ধারণা থাকলো না। তাহলে বক্তব্য আপনার জন্য না।

মনে রাখবেন, কোনও বক্তব্য মুখস্তের কোনও বিষয় না।

তাই আপনাকে অবশ্যই ২৬ শে মার্চ এর বক্তব্য দেওয়ার আগে এই বিষয়ে জানা শোনা থাকতে হবে।

এবার আপনাকে সুন্দর করে গুছিয়ে বলার জন্য প্রয়োজন হলে একদিন আগে কয়েকবার নিজে নিজে প্রাকটিস করতে হবে।

এতে আপনার জড়তা কাটার পাশাপাশি গুছিয়ে বলায় ভালো করবেন।

মঞ্চে ওঠার পরে আপনার বক্তব্যের শুরু থেকে সবাইকে বাধ্য করতে হবে আপনার কথা শোনার জন্য।

এজন্য আপনাকে অঙ্গভঙ্গি আবেগ দিয়ে থেমে থেমে মনের গভির থেকে কথা বলতে হবে।

26 march facebook cover
26 march facebook cover

২৬ শে মার্চ এর বক্তব্য দেওয়ার প্রথমে করনীয়

আপনি যখন বক্তব্য দিতে শুরু করবেন তখন মহা গ্যানিদের দুই লাইন বানী দিয়ে শুরু করতে পারেন।

এরপর মহান আল্লাহ তায়ালার নামে শুরু করতে হবে।

প্রথমেই গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করতে হবে স্বাধীনতা যুদ্ধে সকল শহীদদের।

এরপর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করতে হবে স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্ব দেওয়া সকলকে। তবে এই স্মরণ করতে হবে আপনাকে এক লাইনের মধ্যে।

২৬ শে মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ২৬ শে মার্চ এর বক্তব্য দেওয়া শুরু করে আপনাকে প্রথমে শুরু করতে হবে ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট থেকে দুই থেকে তিন লাইনের মধ্যে বলে আস্তে হবে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে।

১৯৪৭ সাল থেকে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ প্রথম প্রহর পর্যন্ত আপনাকে বিশেষ ভাবে উল্লেখ করতে হবে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন। উল্লেখ করতে হবে ১৯৬৬ এর ৬ দফা, ৬৯ এর নির্বাচন। এরপরে আপনাকে উল্লেখ করতে হবে ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণের কথা।

এরপর আপনাকে ২৫ মার্চ রাতে অর্থাৎ ২৬ শে মার্চ প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহ্মানের স্বাধীনতার ঘোষণা উল্লেখ করতে হবে। এরপর বঙ্গবন্ধুকে আটক করার কথা উল্লেখ করে বলতে হবে, ‘এরপরে শুরু হয় মুক্তি যুদ্ধ। চলতে থাকে দীর্ঘ নয় মাস। এই যুদ্ধের কথা আমরা সবাই জানি।

এরপরে অবশেষে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বরে ৩০ লক্ষ জীবনের বিনিময়ে ২ লক্ষ মা বোনদের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জন করি মহান স্বাধীনতা। পৃথিবীর ভূখণ্ডে বাংলাদেশ নামে একটি নতুন রাষ্ট্রের জন্ম হয়।

এই পর্যন্ত বলার পরে স্বাধীনতা দিবসে আমাদের কি শপথ নেওয়া উচিত, কিভাবে আমরা আমাদের স্বাধীনতাকে রক্ষা করতে পাড়ি তা নিয়ে কয়েক লাইন বলতে হবে। এরপর ২৬ শে মার্চ এর বক্তব্য সমাপ্ত করতে হবে।

উপরের সম্পূর্ণ লেখাটি যদি আপনি পরে থাকেন তাহলে এতক্ষণে নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন যে ২৬ শে মার্চ এর বক্তব্য কেমন হওয়া উচিত। কিভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে আপনি ২৬ শে মার্চ এর বক্তব্য দিতে পারেন তা জেনেছেন।

২৬ শে মার্চ এর নমুনা বক্তব্য । স্বাধীনতা দিবসের বক্তব্য

নিচের নমুনা বক্তব্যটি থেকে আপনি সম্পূর্ণ ধারনা নিয়ে যেকোনো জায়গায় মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য অর্থাৎ ২৬ শে মার্চ এর বক্তব্য হিসেবে দিতে পারবেন।

শুরু করছি নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু এর বলা অমূল্য দুতি লাইন দিয়ে,

তোমরা আমাকে রক্ত দাও, আমি তোমাদেরকে স্বাধীনতা এনে দেব”।

কথাটি বলেছিলেন নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু।

শুরু করছি মহান আল্লাহর নামে।

উপস্থিত আমার শিক্ষক, গুরু জনদের প্রতি আমার সালাম এবং স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা।

আজ, ২৬ শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস। আজকের এই দিনে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে প্রান হারানো সকল শহীদদের।

একই সাথে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি ভাষা আন্দোলন এবং বিভিন্ন সময়ে স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্ব দেওয়া সকল বির শহীদদের প্রতি।

১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট যখন পাকিস্তান এবং ভারত আলাদা হয়ে যায় তখন তৎকালীন পাকিস্তানকে দুইটি ভাগে ভাগ করা হয়। তখন পূর্ব পাকিস্তান – ই আজকের বাংলাদেশ।

দেশ স্বাধীনের সুধু শুরু ১৯৮৭ সালের ১৬ আগস্ট থেকেই। এরপর ভাষা আন্দোলন সংগঠিত হয় ১৯৫২ সালে।

এরপর ৬৬ এ ৬ দফা আন্দোলন হয়। ৬৯ এর এর গণঅভ্যুত্থান এবং ৭০ এর সাধারণ নির্বাচন।

এর প্রত্যেকটি ছিলও দেশ স্বাধীনের একেকটি সার্থক পদক্ষেপ।

১৯৭ এর নির্বাচনে আওয়ামী মুসলিম লীগ বিজয় অর্জন করলেও পশ্চিম পাকিস্তান সরকার যখন ক্ষমতা হস্তান্তরে টালবাহানা শুরু করেন তখন বঙ্গবন্ধু সহ সকলে বুঝে যায়।

এরপর-ই মূলত বাংলার আপামর জনসাধারন মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে শুরু অরেন।

এরপর ১৯৭১ সালের ২৫ শে মার্চ যখন পশ্চিম পাকিস্তান সরকার দেশের ঘুমন্ত নিরীহ মানুষের উপর হামলা চালান তখন রেডিও যোগে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে দেন।

এরপর ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু আটক হলে দেশের জনগন সেই মুহূর্তে যুদ্ধে ঝাপিয়ে পরে।

এরপরের ঘটনা আমাদের সবার জানা। নানান বাধা বিপত্তি পেরিয়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর আমরা মহান বিজয় অর্জন করি।

বাংলাদেশ নামের একটি নতু রাষ্ট্রের জন্ম হয়।

স্বাধীনতা দিবসে আমাদের করনীয়

একটি প্রবাদ আছে যে, স্বাধীনতা অর্জন করা যত কঠিন তা রক্ষা করা তার থেকে বেশি কঠিন।

তাই আজ এই মহান স্বাধীনতা দিবসে আমাদীর সপথ করা উচিত আমরা আমাদের জীবনের বিনিময়ে হলেও দেশের স্বাধীনতা রক্ষা করবো।

এবং একজন দেশপ্রেমিক হিসেবে আমাদের যা করনীয় তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করবো। দেশ ও দশের সেবায় নিজেদের নিয়োজিত রাখবো।

স্বাধীনতা যুদ্ধে মহান শহীদদের আত্মত্যাগ আমরা কোনদিনও ভুলতে পারবো না। ইতিহাসে আপনাদের নাম লেখা থাকবে স্বর্ণাক্ষরে।

এই বলে আমি আমার বক্তব্য এখানেই শেষ করছি। জয় বাংলা, ধন্যবাদ সবাইকে।

২৬ শে মার্চের ভাষণ

যেহেতু এই দিবসের উপর ভিত্তি করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান অফিস আদালত থেকে শুরু করে সকল ক্ষেত্রে বিভিন্ন আয়োজনের ব্যবস্থা হয়ে থাকে।

ছোট বড় সকল অনুষ্ঠানে উপস্থিত বক্তব্য প্রচলন রয়েছে স্বাধীনতার চেতনা ধারণ প্রবক্স স্বাধীনতা অর্জনে যে সকল মানুষের ভূমিকা অপরিসীম তাদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন সহ আজকের বাংলার উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন ভাষণ প্রদান করে থাকেন।

অনেকেই রয়েছেন যারা ভাষণ দিতে অভ্যস্ত না কি বলবেন এক্ষেত্রে চিন্তিত তাই অনলাইন থেকে ভাষণ সংগ্রহ করতে আমাদের ওয়েবসাইটে অবস্থান করছেন। এমন ব্যক্তিদের সহযোগিতার জন্য আমরা নিচে এ দিবসটি উপর ভিত্তি করে ভাষণ প্রদান করছি।

২৬ শে মার্চ এর বক্তব্য 1
২৬ শে মার্চ এর বক্তব্য 1

২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধু ঘোষিত বাংলাদেশের স্বাধীনতার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হ্যান্ডবিল আকারে ইংরেজি ও বাংলায় ছাপিয়ে চট্টগ্রামে বিলি করা হয়৷ আওয়ামী লীগ নেতা জহুর আহমেদ চৌধুরী বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা চট্টগ্রামের ইপিআর সদর দপ্তর থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে ওয়্যারলেস মারফত পাঠানোর ব্যবস্থা করেন৷

চট্টগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ হান্নান এদিন দুপুর ২টা ১০ মিনিটে এবং ২টা ৩০ মিনিটে চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করেন৷

মুক্তিযুদ্ধ ও জনগণকে সংঘঠিত করতে এই কালুরঘাট বেতারকেন্দ্রই প্রাথমিক ভূমিকা পালন করে। এদিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ভাষণ ও স্বাধীনতার ঘোষণাভিত্তিক তারবার্তার আদলে স্বাধীনতা এবং স্বাধীনতা যুদ্ধ সম্পর্কিত অনুষ্ঠান সম্প্রচার করেন এম এ হান্নান, সুলতানুল আলম, বেলাল মোহাম্মদ, আবদুল্লাহ আল-ফারুক, আবুল কাশেম সন্দ্বীপ, কবি আবদুস সালাম এবং মাহমুদ হাসান৷

FacebookX
Najrin Akter
Najrin Akter

আমি নাজরিন আক্তার, সাধারণ ও অজানা বিষয়ে জানার অগ্রহী ! এখানে আমি এই গুলা নিয়ে নিয়মিত লেখা লেখি করতেছি ..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *