একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট হলো এক ধরণের নথি যা কোনো শিক্ষার্থীর শিক্ষাগত প্রতিষ্ঠানে গ্রহণ করা কোর্স, অর্জিত গ্রেড এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের একটি বিস্তারিত বিবরণ ধারণ করে।

একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্টে সাধারণত নিম্নলিখিত তথ্য থাকে:

  • শিক্ষার্থীর নাম:
  • শিক্ষার্থীর রোল নম্বর:
  • শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম:
  • কোর্সের নাম:
  • কোর্সের কোড:
  • পরীক্ষার ধরণ:
  • পরীক্ষার সাল:
  • অর্জিত গ্রেড:
  • জিপিএ (Grade Point Average):
  • ক্রেডিট সংখ্যা:
  • অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য (যেমন, স্কলারশিপ, পুরষ্কার ইত্যাদি):

একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট বিভিন্ন উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়, যেমন:

  • উচ্চতর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি: বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, বা অন্যান্য উচ্চতর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট অপরিহার্য।
  • চাকরির আবেদন: অনেক চাকরির ক্ষেত্রে একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট জমা দেওয়া প্রয়োজন।
  • শিক্ষাগত অগ্রগতি ট্র্যাক করা: একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট শিক্ষার্থীর শিক্ষাগত অগ্রগতি ট্র্যাক করতে সাহায্য করে।
  • অন্যান্য উদ্দেশ্য: একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট বৃত্তি, ঋণ, বা অন্যান্য সুযোগের জন্য আবেদন করতে ব্যবহার করা যেতে পারে।

বাংলাদেশে একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট:

  • বাংলাদেশে, একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট সাধারণত স্কুল, কলেজ, বা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দ্বারা ইস্যু করা হয়।
  • ট্রান্সক্রিপ্ট মূল বা অনুলিপি হতে পারে।
  • মূল ট্রান্সক্রিপ্ট সাধারণত সিল করা থাকে এবং শিক্ষার্থীর স্বাক্ষর থাকে।
  • অনুলিপি ট্রান্সক্রিপ্টের একটি প্রতিকৃতি যা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ দ্বারা যাচাই করা হয়।

আপনার একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট কীভাবে পাবেন:

  • আপনার স্কুল, কলেজ, বা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে ট্রান্সক্রিপ্টের জন্য আবেদন করার নির্দেশাবলী থাকতে পারে।
  • আপনি সরাসরি আপনার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের রেজিস্ট্রার অফিসে যোগাযোগ করে ট্রান্সক্রিপ্টের জন্য আবেদন করতে পারেন।
  • ট্রান্সক্রিপ্টের জন্য আবেদন করার সময়, আপনাকে সাধারণত একটি আবেদন ফর্ম পূরণ করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় ফি প্রদান করতে হবে।