সূরা কুরাইশ:
এই সুরটি কুরআন মাজিদের ১০৬ নম্বর সূরা। এর আয়াত সংখ্য়া -৪ ,শব্দ-১৭ ,রুকু -১। এটি মাক্কী সূরা ।
আরবী:
لِإِيلَٰفِ قُرَيْشٍ إِۦلَٰفِهِمْ رِحْلَةَ ٱلشِّتَآءِ وَٱلصَّيْفِ فَلْيَعْبُدُوا۟ رَبَّ هَٰذَا ٱلْبَيْتِ ٱلَّذِىٓ أَطْعَمَهُم مِّن جُوعٍ وَءَامَنَهُم مِّنْ خَوْفٍ ۞
বাংলা উচ্চারণ:
লি-ইলা-ফি কুরাইশ ঈলা-ফিহিম রিহলাতাশ শিতা’ই ওয়াস সাইফ। ফালইয়া’বুদূ রাব্বা হা-যাল বাইত। আল্লাযী আতা’আমাহুম মিন জূ’ই ওয়া আ-মানাহুম মিন খাওফ।
বাংলা অর্থ:
কুরাইশদের একত্রিত হওয়ার জন্য, তাদের শীত ও গ্রীষ্মকালীন ভ্রমণের জন্য। অতএব, তারা যেন ইবাদত করে এই গৃহের মালিকের, যিনি তাদেরকে ক্ষুধা থেকে অন্ন দান করেছেন এবং ভীতি হ’তে নিরাপদ করেছেন।
সূরাটির তাফসীর:
- আয়াত ১: এই আয়াতে কুরাইশদের একত্রিত হওয়ার উপর জোর দেওয়া হয়েছে। তারা ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য শীতকালে ইয়েমেন এবং গ্রীষ্মকালে সিরিয়ায় যেত। এই ভ্রমণগুলি তাদেরকে একত্রিত করেছিল এবং তাদের মধ্যে ঐক্য ও সহযোগিতা বৃদ্ধি করেছিল।
- আয়াত ২: এই আয়াতে কুরাইশদের ভ্রমণের নিরাপত্তার উপর জোর দেওয়া হয়েছে। আল্লাহ তাদেরকে দুর্বলদের হাত থেকে রক্ষা করেছিলেন এবং তাদের ভ্রমণকে নিরাপদ করেছিলেন।
- আয়াত ৩-৪: এই আয়াতে কুরাইশদেরকে কৃতজ্ঞ হওয়ার এবং কা’বা’র মালিক আল্লাহর ইবাদত করার আহ্বান জানানো হয়েছে। আল্লাহ তাদেরকে খাদ্য ও নিরাপত্তা দান করেছেন, তাই তাদের উচিত কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা।
সূরাটির গুরুত্ব:
- এই সূরাটি কুরাইশদের জন্য আল্লাহর অনুগ্রহের একটি স্মারক।
- এটি আমাদেরকে ঐক্য ও সহযোগিতার গুরুত্ব শেখায়।
- এটি আমাদেরকে কৃতজ্ঞ হতে এবং আল্লাহর ইবাদত করতে শেখায়।
সূরাটির ফজিলত:
- হাদিসে বর্ণিত আছে যে, যে ব্যক্তি নিয়মিত সূরা কুরাইশ তিলাওয়াত করবে, আল্লাহ তাকে জান্নাতে প্রবেশ করার অনুমতি দেবেন।
- অন্য একটি হাদিসে বলা হয়েছে যে, এই সূরাটি তিলাওয়াত করলে রিযক বৃদ্ধি পায়।
সূরা কুরাইশ নামাজে তিলাওয়াত করার নিয়ম:
- সূরা কুরাইশ নামাজের যেকোনো রাকাতে তিলাওয়াত করা যেতে পারে।
- তবে, এটি সাধারণত ফজর ও মাগরিবের নামাজের শেষ রাকাতে তিলাওয়াত করা হয়।
Comments (0)