সূরা কাওসার:
সূরা কাওসার এর আয়াত সংখ্য়া ৩ , শব্দ 10, রুকু -১ । এটি মাক্কী সূরা ।
আরবী:
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ
إِنَّا أَعْطَيْنَاكَ الْكَوْثَرَ
فَصَلِّ لِرَبِّكَ وَانْحَرْ
إِنَّ شَانِئَكَ هُوَ الْأَبْتَرُ
বাংলা উচ্চারণ:
বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম
ইন্না -আ’আতাইনা-কাল কাওসারা
ফা সাল্লি লিরাব্বিকা ওয়া-নহার
ইন্না শা-নিয়াকা হুয়া আল-আবতার
বাংলা অনুবাদ:
রহমান ও রহীম আল্লাহর নামে
নিশ্চয়ই আমি আপনাকে কাওসার দান করেছি।
তাই আপনার রবের জন্য নামায পড়ুন এবং কুরবানি দিন।
নিশ্চয়ই আপনার শত্রুই হবে হীন।
ব্যাখ্যা:
- কাওসার: জান্নাতের একটি নদী বা ঝর্ণা যার পানি অত্যন্ত মধুর এবং সুস্বাদু। হাদিসে বর্ণিত আছে যে, এই নদীর পানি পান করার জন্য নবী মুহাম্মদ (সাঃ) এর উম্মতের সংখ্যা আকাশের তারার চেয়েও বেশি হবে।
- ফা সাল্লি লিরাব্বিকা ওয়া-নহার : এই আয়াতে নবী মুহাম্মদ (সাঃ) কে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে যে, তিনি আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের জন্য নামায পড়ুন এবং কুরবানি দিন।
- ইন্নাশা-নিয়াকা হুয়া আল-আবতার: এই আয়াতে নবী মুহাম্মদ (সাঃ) এর শত্রুদের সম্পর্কে বলা হচ্ছে যে, তারা হবে হীন ও অপমানিত।
সূরা কাওসারের فضائل:
- এই সূরাটি তেলাওয়াত করলে আল্লাহ তাআলার কাছ থেকে অফুরন্ত নেয়ামত ও বরকত লাভ করা যায়।
- এই সূরাটি তেলাওয়াত করলে জাহান্নাম থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
- এই সূরাটি লেখা থাকলে কবর থেকে নিরাপদে উঠে আসা যায়।
সূরা কাওসার তেলাওয়াতের নিয়ম:
- এই সূরাটি যেকোনো সময় তেলাওয়াত করা যায়।
- তবে, বিশেষ করে ফজর ও মাগরিবের নামাযের পর তেলাওয়াত করা উত্তম।
- তেলাওয়াতের সময় নিয়ম কানুন মেনে চলা উচিত।
Comments (0)