ইসলামিক শরিয়া আইন অনুযায়ী, নিম্নলিখিত ৫ দিনে রোজা রাখা হারাম বা নিষিদ্ধ:
- ঈদুল ফিতরের দিন – ১ শাওয়াল
- ঈদুল আযহার দিন – ১০ জিলহজ
- তাশরিকের প্রথম দিন – ১১ জিলহজ
- তাশরিকের দ্বিতীয় দিন – ১২ জিলহজ
- তাশরিকের তৃতীয় দিন – ১৩ জিলহজ
১. ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার দিনে রোজা নিষিদ্ধ:
হাদিস:
عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ صِيَامِ يَوْمَيْنِ: يَوْمِ الْفِطْرِ وَيَوْمِ النَّحْرِ
বাংলা অনুবাদ:
আবু সাঈদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “রাসূলুল্লাহ (সা.) দুটি দিনে রোজা রাখতে নিষেধ করেছেন: ঈদুল ফিতরের দিন এবং ঈদুল আযহার দিন।”
- সূত্র: সহিহ বুখারী (হাদিস নং: ১৯৯১), সহিহ মুসলিম (হাদিস নং: ১১৩৮)।
২. তাশরিকের দিনগুলোতে (১১, ১২, ১৩ জিলহজ) রোজা নিষিদ্ধ:
হাদিস:
عَنْ عَائِشَةَ وَابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا قَالَا: لَمْ يُرَخَّصْ لِأَحَدٍ أَنْ يَصُومَ أَيَّامَ التَّشْرِيقِ إِلَّا لِمَنْ لَمْ يَجِدْ الْهَدْيَ
বাংলা অনুবাদ:
আয়েশা (রা.) ও ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত, তাঁরা বলেন, “তাশরিকের দিনগুলোতে কাউকে রোজা রাখার অনুমতি দেওয়া হয়নি, তবে যে ব্যক্তি হদি (কোরবানির পশু) পায়নি, সে ব্যতীত।”
- সূত্র: সহিহ বুখারী (হাদিস নং: ১৯৯৮), সহিহ মুসলিম (হাদিস নং: ১১৪১)।
ব্যাখ্যা:
এই পাঁচটি দিন উৎসব এবং আনন্দের দিন হিসেবে বিবেচিত হয়। ইসলামে এই দিনগুলোতে খাওয়া-দাওয়া এবং আল্লাহর জিকির করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
হাদিসে রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার দিনে রোজা রাখা যাবে না। এছাড়াও, তাশরিকের দিনগুলো (১১, ১২, এবং ১৩ জিলহজ) সম্পর্কে হাদিসে উল্লেখ আছে যে, এগুলো খাওয়া-দাওয়া ও আল্লাহর শুকরিয়া আদায়ের দিন। তাই এই দিনগুলোতে রোজা রাখা হারাম।