আশুরা হলো ইসলামি পঞ্জিকা অনুযায়ী মহররম মাসের ১০ তারিখ। এটি মুসলিমদের কাছে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিন কারণ এই দিনে ইতিহাসে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটেছিল।
আশুরার তাৎপর্য:
- হযরত ইমাম হুসাইন (আঃ) এর শাহাদত: আশুরার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হলো হযরত ইমাম হুসাইন (আঃ) এবং তার সঙ্গীদের কারবালার যুদ্ধে শাহাদত। ৬৮০ সালে, ইয়াজিদ ইবনে মুয়াবিয়ার অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে হযরত ইমাম হুসাইন (আঃ) তার পরিবার ও সমর্থকদের সহকারে কারবালার যাত্রা করেন। সেখানে তিনি ইয়াজিদের সৈন্যদের বিরুদ্ধে একটি বীরোচিত যুদ্ধ করেন এবং শেষ পর্যন্ত শহীদ হন।
- নবী মুসা (আঃ) এর ফিরাউনের বিরুদ্ধে বিজয়: আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হলো নবী মুসা (আঃ) এবং তাঁর ইসরায়েলীয় অনুসারীদের ফিরাউনের অত্যাচার থেকে মুক্তি।
- নবী আয়ুব (আঃ) এর রোগ নিরাময়: আশুরার দিনে নবী আয়ুব (আঃ) ১৮ বছরের দীর্ঘ রোগ থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন বলে বিশ্বাস করা হয়।
আশুরা পালনের রীতিনীতি:
- রোজা: আশুরার দিনে রোজা রাখা মুসলিমদের জন্য একটি সুন্নত।
- শোক: হযরত ইমাম হুসাইন (আঃ) এবং তার সঙ্গীদের শোক প্রকাশ করা হয়। মুসলমানরা মাতম, মজলিস, এবং শোকগীতিতে অংশগ্রহণ করে।
- দান: দরিদ্র ও অভাবীদের সাহায্য করা।
- ইবাদত: নামাজ, কুরআন পাঠ এবং জিকির বৃদ্ধি করা।
আশুরা শুধুমাত্র একটি শোকের দিন নয়, বরং এটি সত্য, ন্যায়বিচার এবং আত্মত্যাগের বিজয় উদযাপন করারও একটি দিন।