আখেরি চাহার সোম্বা হলো ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের পালিত অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি স্মারক দিবস। আখেরি চাহার সোম্বা একটি আরবি ও ফার্সি বাক্য-যুগল; এর আরবী অংশ আখেরি, যার অর্থ “শেষ” এবং ফার্সি অংশ চাহার শোম্বা, যার অর্থ “বুধবার”। আর এটি হযরত মুহাম্মদ (ﷺ) এর মৃতুর প্রায় ১০০০ বছর থেকে পালিত হচ্ছে !!
আখেরি চাহার সোম্বা পালনের মূল তাৎপর্য হলো, সফর মাসের শেষ বুধবার হজরত মোহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দীর্ঘ অসুস্থতার পর সাময়িক সুস্থ হয়ে ওঠার দিনকে স্মরণ করা। এই দিনটিকে মুসলিম উম্মাহ খুশির দিন হিসেবে জানে এবং খুশির দিন হিসেবেই উদযাপন করে থাকে।
আখেরি চাহার সোম্বা পালনের বিভিন্ন রীতি-নীতি রয়েছে। বাংলাদেশে এ দিনটিতে সাধারণত নিম্নলিখিত আমলগুলো করা হয়:
- গোসল করে দু’রাকাত শোকরানা-নফল নামাজ আদায় করা।
- আল্লাহর কাছে রোগ থেকে মুক্তির দোয়া করা।
- গরিব-দুঃখীর মাঝে দান-খয়রাত করা।
- মসজিদ, মাদরাসা, দরবার, খানকায় ওয়াজ-নসিহত, জিকির-আজকার, মিলাদ মাহফিল, দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত করা।
আখেরি চাহার সোম্বা পালন সম্পর্কে ধর্ম-তত্ত্ববিদগণের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। কেউ কেউ মনে করেন, এটি একটি সুন্নাত আমল, আবার কেউ কেউ মনে করেন, এটি একটি বিদআত। তবে এটি একটি ঐতিহ্যবাহী আমল হিসেবে বাংলাদেশে ব্যাপকভাবে পালিত হয়ে আসছে।
আখেরি চাহার সোম্বা পালন সম্পর্কে কিছু পরামর্শ:
- আখেরি চাহার সোম্বা পালনের জন্যে হাদিস ও সুন্নাহর কোনো নির্দেশনা নেই ।
- আখেরি চাহার সোম্বা পালন করা একটি বিদআত কাজ। তবে এটিকে বাড়াবাড়ি করা উচিত নয়।
Comments (0)