এসিড রিফ্লাক্স কি ও কী কাজ করে?

এসিড রিফ্লাক্স (Acid Reflux) হলো এমন একটি অবস্থা যেখানে পাকস্থলীর অ্যাসিড খাবারের নালির (oesophagus) দিকে উঠে আসে। এটি সাধারণত ঘটে যখন খাদ্যনালীর নিচের অংশে অবস্থিত লোয়ার ইসোফেজিয়াল স্ফিনকটার (LES) নামক পেশিটি দুর্বল হয়ে পড়ে বা সঠিকভাবে বন্ধ না হয়। ফলে পাকস্থলীর অ্যাসিড উপরের দিকে উঠে আসে এবং বুকজ্বালা বা গলা জ্বলার মতো উপসর্গ দেখা দেয়।

🔬 কীভাবে কাজ করে:

এসিড রিফ্লাক্স হজম প্রক্রিয়ার স্বাভাবিক অংশ নয়, বরং এটি শরীরে নিম্নলিখিত প্রভাব ফেলে:

  1. হার্টবার্ন সৃষ্টি: অ্যাসিড খাদ্যনালীর সংবেদনশীল আস্তরণে জ্বালাপোড়া সৃষ্টি করে, যা হার্টবার্ন (বুক জ্বালাপোড়া) নামে পরিচিত। এটি বুকের মাঝখানে তীব্র জ্বালাপোড়ার অনুভূতি সৃষ্টি করে।
  2. খাদ্যনালীর ক্ষতি: দীর্ঘমেয়াদি রিফ্লাক্স খাদ্যনালীতে প্রদাহ (esophagitis), আলসার, বা ব্যারেটস ইসোফাগাস নামক অবস্থা সৃষ্টি করতে পারে, যা খাদ্যনালীর ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।
  3. অন্যান্য উপসর্গ:
    • গলায় তিক্ত স্বাদ বা জ্বালাপোড়া।
    • বমি বমি ভাব বা বমি।
    • গলায় কিছু আটকে থাকার অনুভূতি।
    • দীর্ঘস্থায়ী কাশি বা হাঁপানির সমস্যা।
    • দাঁতের ক্ষয় বা মুখের দুর্গন্ধ।

📌 এসিড রিফ্লাক্স ও গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ (GERD) এক নয়, তবে GERD হলো এসিড রিফ্লাক্সের দীর্ঘমেয়াদি বা গুরুতর অবস্থা।

কারণ:

  • খাদ্যাভ্যাস: মশলাদার, তৈলাক্ত, বা অ্যাসিডিক খাবার (যেমন টমেটো, কফি, চকোলেট)।
  • জীবনযাত্রা: ধূমপান, অতিরিক্ত ওজন, খাওয়ার পর শুয়ে পড়া, টাইট পোশাক।
  • চিকিৎসাগত কারণ: হিয়াটাল হার্নিয়া, গর্ভাবস্থা, কিছু ওষুধ।
  • পাকস্থলীর সমস্যা: অতিরিক্ত অ্যাসিড উৎপাদন।

এসিড রিফ্লাক্সের কারণ

  • খাদ্যাভ্যাস: মশলাদার, তৈলাক্ত, বা অ্যাসিডিক খাবার (যেমন টমেটো, কফি, চকোলেট)। আরও জানতে পড়ুন: স্বাস্থ্যকর খাবারের তালিকা
  • জীবনযাত্রা: ধূমপান, অতিরিক্ত ওজন, খাওয়ার পরপর শুয়ে পড়া, বা টাইট পোশাক।
  • চিকিৎসাগত কারণ: হিয়াটাল হার্নিয়া, গর্ভাবস্থা, বা কিছু ওষুধ।
  • পাকস্থলীর সমস্যা: অতিরিক্ত অ্যাসিড উৎপাদন।

এসিড রিফ্লাক্স নিয়ন্ত্রণের উপায়:

  1. খাদ্যাভ্যাস: মশলাদার, তৈলাক্ত খাবার এড়ান। ছোট ছোট মিল খান।
  2. জীবনযাত্রা: ধূমপান ত্যাগ, ওজন নিয়ন্ত্রণ, খাওয়ার পর শুয়ে পড়া এড়ান।
  3. ওষুধ: অ্যান্টাসিড, প্রোটন পাম্প ইনহিবিটর (PPI), বা H2 রিসেপ্টর ব্লকার। চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
  4. চিকিৎসকের পরামর্শ: দীর্ঘমেয়াদি উপসর্গ থাকলে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন।

🧭 আপনি যদি চান, আমি এ বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ SEO-অনুকূল ব্লগ পোস্ট বানিয়ে দিতে পারি অভ্যন্তরীণ লিংকসহ। শুধু জানান – বাংলা না ইংরেজিতে চান? এবং কী ধরনের পাঠকদের লক্ষ্য করা হচ্ছে (যেমনঃ সাধারণ পাঠক, স্বাস্থ্য-সচেতন, শিক্ষার্থী)।

FacebookX
kamruz
kamruz

সময় পেলেই মানেকীতে সাম্প্রতিক ও সাধারণ বিষয়ে লেখা লিখি করি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *