স্মার্টফোন–নির্ভরতার সঙ্গে বিষণ্নতার সম্পর্ক কী?

স্মার্টফোন–নির্ভরতার সঙ্গে বিষণ্নতার সম্পর্ক একটি প্রচলিত এবং গবেষণায় বিবেচিত বিষয়। বর্তমানে স্মার্টফোন আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে, যার ফলে এর উপর নির্ভরতা অনেক গুনে বেড়েছে। এই নির্ভরতার সঙ্গে বিষণ্নতার সম্পর্ক থাকার পেছনে কয়েকটি কারণ থাকতে পারে:

  1. অতিরিক্ত ব্যবহার:স্মার্টফোনের অতিরিক্ত ব্যবহার আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। নোটিফিকেশন, সোশ্যাল মিডিয়া এবং অনলাইন গেমের প্রতি আসক্তি আমাদের শারীরিক ও মানসিক বিশ্রামকে প্রভাবিত করে, যা দীর্ঘমেয়াদে বিষণ্নতা সৃষ্টি করতে পারে।

  1. সোশ্যাল মিডিয়ার প্রভাব:সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখানো সাজানো জীবনযাত্রার কারণে অনেকে নিজেদের জীবনকে অন্যদের সঙ্গে তুলনা করতে থাকে। এই তুলনা থেকে কখনো কখনো হীনমন্যতা এবং আত্মবিশ্বাসের অভাবে বিষণ্নতা তৈরি হতে পারে।

  1. একাকীত্ব:যদিও স্মার্টফোন মানুষকে সংযুক্ত রাখার কথা বলে, কিন্তু বাস্তবে এটি মানুষের মধ্যে শারীরিক এবং মানসিক বিচ্ছিন্নতা সৃষ্টি করছে। ভার্চুয়াল যোগাযোগ বাস্তব মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনে বাধা সৃষ্টি করে, যা একাকীত্ব এবং বিষণ্নতার কারণ হতে পারে।

  1. ঘুমের ব্যাঘাত:স্মার্টফোনের অতিরিক্ত গ্যাজেট ব্যবহারের কারণে অনেক মানুষ নিদ্রাহীনতায় আক্রান্ত হন। স্ক্রিনের নীল আলো মেলাটোনিন হরমোনের ক্ষরণে বাধা দেয়, যার ফলে ঘুমের গুণমান কমে যায় এবং বিষণ্নতা দেখা দিতে পারে।

এসব ছাড়াও মানসিক চাপ, প্রাইভেসি উদ্বেগ এবং সামাজিক চাপের মতো অন্যান্য কারণও স্মার্টফোনের ব্যবহারের সঙ্গে যুক্ত বিষণ্নতায় ভূমিকা রাখতে পারে। তবে, এই সম্পর্ক সবসময় সরাসরি নয়, এবং ব্যক্তি বিশেষে বিভিন্নভাবে প্রকাশ পেতে পারে। প্রয়োজনে পেশাদার মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

FacebookX
kamruz
kamruz

সময় পেলেই মানেকীতে সাম্প্রতিক ও সাধারণ বিষয়ে লেখা লিখি করি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *