টর্পেডো কি?

টর্পেডো হলো এক ধরণের স্ব-চালিত অস্ত্র যা জলের নিচে বিস্ফোরক ওয়ারহেড বহন করে এবং লক্ষ্যবস্তুর সাথে সংস্পর্শে আসার পর বা তার কাছাকাছি আসার পর বিস্ফোরিত হয়। এগুলো জলের নিচে চালিত হয় এবং জলের নিচে বা উপরে উভয় স্থান থেকেই নিক্ষেপ করা যেতে পারে।

টর্পেডোর কিছু বৈশিষ্ট্য:

  • আকৃতি: টর্পেডোগুলো সাধারণত লম্বাটে এবং সিলিন্ডার আকৃতির হয়।
  • আকার: টর্পেডোর আকার বিভিন্ন হতে পারে, তবে সাধারণত এগুলো কয়েক মিটার লম্বা এবং কয়েকশ কেজি ওজনের হয়।
  • গতি: টর্পেডো ৭০ কিমি/ঘন্টা (৪৩ মাইল/ঘন্টা) এরও বেশি গতিতে চলতে পারে।
  • পরিসীমা: টর্পেডোর পরিসীমা কয়েক কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে।
  • নিয়ন্ত্রণ: টর্পেডো তারের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে, অথবা এগুলো স্ব-নির্দেশিত হতে পারে।
  • ওয়ারহেড: টর্পেডোগুলোতে বিস্ফোরক ওয়ারহেড থাকে যা লক্ষ্যবস্তুকে ধ্বংস করতে পারে।

টর্পেডোর ব্যবহার:

টর্পেডো বিভিন্ন ধরণের জাহাজ, যেমন যুদ্ধজাহাজ, ডুবোজাহাজ এবং বিমান থেকে নিক্ষেপ করা যেতে পারে। এগুলো প্রাথমিকভাবে জলযান ধ্বংস করার জন্য ব্যবহৃত হয়, তবে এগুলো স্থল লক্ষ্যবস্তু আক্রমণ করতেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

টর্পেডোর ইতিহাস:

টর্পেডোর উদ্ভাবন ১৯ শতকের প্রথম দিকে হয়েছিল এবং প্রথমবারের মতো ১৮৫৯ সালে যুদ্ধে ব্যবহৃত হয়েছিল। তখন থেকে, টর্পেডোগুলো বিবর্তিত হয়েছে এবং আরও শক্তিশালী এবং নির্ভুল হয়ে উঠেছে।

বাংলাদেশে টর্পেডো:

বাংলাদেশ নৌবাহিনী টর্পেডো সহ বিভিন্ন ধরণের নৌ অস্ত্র ব্যবহার করে। টর্পেডোগুলো দেশের সমুদ্রিক সীমানা রক্ষা করতে এবং নৌ হুমকি মোকাবেলা করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

উল্লেখ্য: টর্পেডোগুলো শক্তিশালী অস্ত্র এবং এগুলো ব্যবহারের সাথে যুক্ত ঝুঁকি রয়েছে। টর্পেডো ব্যবহার করার সময় সাবধানতা অবলম্বন করা এবং আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলা গুরুত্বপূর্ণ।

FacebookX
kamruz
kamruz

সময় পেলেই মানেকীতে সাম্প্রতিক ও সাধারণ বিষয়ে লেখা লিখি করি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *