“সেলুকাস” শব্দটি মূলত ইতিহাস থেকে এসেছে, তবে এটি বাংলার সাহিত্যে একটি বিশেষ প্রসঙ্গে জনপ্রিয়।
প্রাচীন ইতিহাস অনুযায়ী, সেলুকাস ছিলেন মেসিডোনিয়ার বিখ্যাত সম্রাট আলেকজান্ডারের সেনাপতিদের একজন। পরবর্তীতে তিনি গ্রিক-ব্যাকট্রিয়ান সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা হন এবং ভারতেও তাঁর উল্লেখ পাওয়া যায়। খ্রিস্টপূর্ব ৩২৫ সালে, আলেকজান্ডার ভারতে আসার সময় সেলুকাস তার সেনাপতিদের একজন হিসেবে ভারতে এসেছিলেন।
বাংলা সাহিত্যে সেলুকাসের প্রসঙ্গ:
বিখ্যাত কবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত তাঁর মহাকাব্য “মেঘনাদবধ কাব্য”-এ এক স্থানে “সেলুকাস” শব্দটি উল্লেখ করেন। কবি লিখেছেন:
“বিস্ময়! সত্যই বিস্ময়! কী বিচিত্র এ দেশ সেলুকাস!”
এখানে, “সেলুকাস” শব্দটি ভারতীয় সংস্কৃতি, প্রকৃতি এবং মানুষের বৈচিত্র্য দেখে বিস্ময়ের প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। এটি একটি রূপক অর্থে ব্যবহৃত হয়, যেখানে সেলুকাসের চোখ দিয়ে ভারতের অদ্ভুত রূপ বৈচিত্র্য তুলে ধরা হয়েছে।
তাই, “সেলুকাস” সাধারণত বিস্ময় প্রকাশ করতে বা বিচিত্র বিষয় বোঝাতে ব্যবহৃত হয়।