ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসে ২১ ফেব্রুয়ারি ১৯৫২ তারিখে ঘটে যাওয়া রক্তক্ষয়ী ঘটনাকে স্মরণ করে আমাদের মনে বারংবার উঠে আসে সেই মহান ত্যাগের কথা। ঐ দিন, বাংলাদেশের ভাষা ও সংস্কৃতির মর্যাদা রক্ষার উদ্দেশ্যে যারা সংগ্রাম করেছিলেন, তাঁদের মধ্যে প্রথম শহীদ হিসেবে স্বীকৃতি পান রফিক উদ্দিন আহমেদ।
কিছু ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট
- মাল্টিপল সংগ্রাম: ১৯৫২ সালে, তখন পূর্ব পাকিস্তানে (বর্তমান বাংলাদেশ) বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি না দেওয়ার নীতি ও প্রয়াসের বিরুদ্ধে যে আন্দোলন শুরু হয়, তা শুধু শিক্ষার্থীদেরই নয়, সাধারণ জনগণকেও একত্রিত করেছিল।
- প্রথম শহীদের ত্যাগ: ঐ দিন, ছাত্র ও নাগরিকরা দেশের ভাষার মর্যাদার জন্য প্রতিবাদে মিলে মাঠে নামেন। পুলিশের হঠাৎ গুলিতে প্রথম পতিত হন রফিক উদ্দিন আহমেদ, যিনি সেই সংগ্রামের অমর স্বরূপ হয়ে উঠেন।
- ঐক্য ও আত্মত্যাগের প্রেরণা: রফিক উদ্দিন আহমেদের ত্যাগ আজকের বাংলাদেশে ভাষার প্রতি গভীর ভালবাসা ও সংহতির বার্তা বহন করে। তার আত্মত্যাগ শুধু ঐ দিনের স্মৃতিকে চিরস্থায়ী করে তুলেছে, বরং আমাদের জাতীয় পরিচয়ের অঙ্গ হিসেবে সর্বদা উদ্দীপনা জুগিয়ে চলেছে।
আজ ২১ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভাষা দিবস হিসাবে পালিত হয়, যা আমাদেরকে স্মরণ করিয়ে দেয় সেই মহান শহীদদের ত্যাগ ও সংগ্রামের মূল্য।
সংক্ষেপে:
ভাষা আন্দোলনের প্রথম শহীদ হিসেবে ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে রয়েছেন রফিক উদ্দিন আহমেদ, যাঁর আত্মত্যাগ বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষায় এক অবিস্মরণীয় অধ্যায় যোগ করেছে।