সিজোফ্রেনিয়া কি?

সিজোফ্রেনিয়া একটি মানসিক বিকার যা ব্যক্তির চিন্তাভাবনা, উপলব্ধি, আবেগ এবং আচরণে গভীর প্রভাব ফেলে। এটি একটি দীর্ঘমেয়াদী মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা যা মস্তিষ্কের কার্যপদ্ধতিতে জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে। সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তি বাস্তবতা এবং কাল্পনিক ধারণার মধ্যে পার্থক্য বুঝতে সমস্যায় পড়তে পারে।

লক্ষণসমূহ

সিজোফ্রেনিয়ার লক্ষণগুলি বিভিন্ন হতে পারে, তবে সাধারণত তিনটি প্রধান শ্রেণীতে বিভক্ত:

  1. ইতিবাচক লক্ষণ

– হ্যালুসিনেশন: যা নেই তা শুনতে বা দেখতে পাওয়া।
– বিভ্রম: অপ্রকৃত বা ভুল বিশ্বাস পোষণ করা।

  1. নেতিবাচক লক্ষণ

– আবেগের অভাব: আবেগপ্রবণতার হ্রাস।
– সামাজিক বিচ্ছিন্নতা: সামাজিক ক্রিয়াকলাপ থেকে দূরে থাকা।

  1. সাংগঠনিক লক্ষণ

– অব্যবস্থিত চিন্তা: চিন্তাধারা বা কথায় সংগতি না থাকা।
– মনোযোগের অভাব: মনোযোগ ধরে রাখতে সমস্যা।

কারণ

সিজোফ্রেনিয়ার সঠিক কারণ এখনও পুরোপুরি বোঝা যায়নি, তবে বেশ কয়েকটি ফ্যাক্টর এর সাথে যুক্ত থাকতে পারে:

জেনেটিক্স:পরিবারের ইতিহাস থাকলে ঝুঁকি বাড়তে পারে।

বায়োকেমিক্যাল:মস্তিষ্কের রাসায়নিক ভারসাম্যহীনতা।

পরিবেশীয় উপাদান:গর্ভাবস্থায় ভাইরাস সংক্রমণ বা চাপযুক্ত জীবন পরিস্থিতি।

চিকিৎসা

সিজোফ্রেনিয়ার চিকিৎসা সাধারণত দীর্ঘমেয়াদী এবং বহুমুখী কৌশলের প্রয়োজন হয়:

ঔষধ:এন্টি-সাইকোটিক ঔষধ ব্যবহার।

থেরাপি:সাইকোথেরাপি এবং পুনর্বাসন প্রোগ্রাম।

সমর্থন গ্রুপ:পরিবার ও সমাজের সমর্থনকে অন্তর্ভুক্ত করা।

সিজোফ্রেনিয়া একটি জটিল মানসিক অসুস্থতা হলেও, সঠিক চিকিৎসা এবং সমর্থনে এর ব্যবস্থাপনা সম্ভব। এটি বোঝার জন্য এবং সহানুভূতির সাথে সহায়তা করার জন্য সচেতনতা বৃদ্ধি করা জরুরি।

FacebookX
Najrin Akter
Najrin Akter

আমি নাজরিন আক্তার, সাধারণ ও অজানা বিষয়ে জানার অগ্রহী ! এখানে আমি এই গুলা নিয়ে নিয়মিত লেখা লেখি করতেছি ..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *