মহালয়া একটি ঐতিহ্যবাহী হিন্দু উৎসব, যা সাধারণত দশমী উৎসবের আগে পালন করা হয়। এটি মূলত দেবীপক্ষের সূচনা হিসেবে গণ্য হয় এবং মাতৃপূজার জন্য সাম্প্রদায়িক উৎসবের একটি অংশ। মহালয়া বিশেষ করে বাংলায় উল্লেখযোগ্য, কারণ এখানে এর সাথে অনেক সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় গুরুত্ব জড়িত।
মহালয়া উপলক্ষে শ্রাদ্ধের অনুষ্ঠানও পালিত হয়। এই দিনে মানুষ তাদের পূর্বপুরুষদের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য বিভিন্ন ধর্মীয় ক্রিয়াকলাপ সম্পন্ন করে। বিশেষ করে এই দিনে ‘তিলন্তী’ বা ‘পিতৃপক্ষ’-এর শেষে স্নান করে ও পিতৃতিথিতে অঞ্জলি দেবার প্রচলন রয়েছে। অনেক সময়, এই দিনটিকে শ্রাদ্ধের শেষ দিন হিসেবেও দেখা হয়।
মহালয়ার অন্যতম বিশেষত্ব হলো, এই দিনে রামায়ণের অনুসারে দুর্গা মায়ের গmotherীপূর্ণির মায়ের স্বর্গ ‘মা দুর্গা’র জন্মের ইতিহাস এবং তার পৃথিবীতে আগমন ঘোষণা করার প্রথা। এটি সাধারণত চাঁদ ওঠার সঙ্গে সঙ্গেই উদযাপন হয় এবং মানুষের মধ্যে এক ধরনের ধর্মীয় উচ্ছ্বাস দেখা যায়।
বাংলাদেশসহ ভারতীয় পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন আঞ্চলিক সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপটে মহালয়া অত্যন্ত জনপ্রিয়। মহালয়া উপলক্ষে রেডিও কিংবা টেলিভিশনে ‘মahalaya’ নামক একটি বিশেষ программы প্রচার করা হয়, যেখানে ‘চন্দ্রযোগিনী’ বা ‘মা দুর্গার’ উম্মুক্তিতে গান ও সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। এই অনুষ্ঠানটি হাজার হাজার শ্রোতা-দর্শকের জন্য বিশেষ এক আবেগের সৃষ্টি করে।
মহালয়া হলো মৌসুমি পরিবর্তনের একটি সূচনা, যা শারদীয় দুর্গোৎসবের পথে প্রবেশের একটি পাথেয় হিসেবে কাজ করে। এটি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে একত্রে মিলন, আনন্দ ও শ্রদ্ধার পরিবেশ সৃষ্টি করে।
Comments (0)