Skip to content

শীধু শব্দটি বাংলায় দুটি অর্থে ব্যবহৃত হয়। প্রথম অর্থ হল ইক্ষুরসজাত মদ্যবিশেষ। দ্বিতীয় অর্থ হল মধু।

শীধুর মধু অর্থ

শীধু শব্দটি মধুর অর্থেও ব্যবহৃত হয়। মধু হল একটি মিষ্টি, আঠালো, তরল পদার্থ যা মৌমাছি দ্বারা ফুলের মকর থেকে তৈরি করা হয়। মধুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। মধু বিভিন্ন খাবারে ব্যবহার করা হয়, যেমন মিষ্টি, ফলের সালাদ, দই ইত্যাদি। এটি চিকিৎসার ক্ষেত্রেও ব্যবহৃত হয়।

মধ্যযুগীয় বাংলা সাহিত্যের অন্যতম কবি মুকুন্দরাম চক্রবর্তী তাঁর “চৈতন্যচরিতামৃত” গ্রন্থে শীধু শব্দটি ব্যবহার করেছেন। তিনি লিখেছেন,

“শীধু-মধু-পুষ্প-বৃক্ষ-শোভা,
মধুকর মধু-পান লয়ে,
সুন্দরী কন্যারা গান লয়ে,
গড়েতেছে যৌবন-মহল।”

এখানে মুকুন্দরাম চক্রবর্তী শীধু শব্দটি মধুর সমার্থক হিসেবে ব্যবহার করেছেন।

শীধুর ইক্ষুরসজাত মদ্যবিশেষ অর্থ

শীধু হল একটি প্রাচীন বাংলা মদ্য। এটি ইক্ষুর রস থেকে তৈরি করা হয়। ইক্ষুর রসকে জ্বাল দিয়ে ঘন করে তৈরি করা হয় শীধু। শীধুর রঙ হল হালকা হলুদ বা বাদামী। এটিতে মধুর স্বাদ এবং গন্ধ থাকে। শীধু সাধারণত পান পাত্র বা গ্লাসে পরিবেশন করা হয়।

মুকুন্দরাম চক্রবর্তী আরও লিখেছেন,

“শীধু-মধুর মাদক-রস,
চোখেতে লাগিয়াছে,
মত্ত হয়েছি হইয়াছি,
মন-মতি সব ভুলে গেছি।”

এখানে মুকুন্দরাম চক্রবর্তী শীধু শব্দটি মদ বা মদ্যের সমার্থক হিসেবে ব্যবহার করেছেন।

বাংলা সাহিত্যের অন্যান্য কবিও শীধু শব্দটি ব্যবহার করেছেন। কবি বিহারীলাল চক্রবর্তী তাঁর “বিহারী-বিলাস” গ্রন্থে লিখেছেন,

“শীধু-মধু-পুষ্প-বৃক্ষ-শোভা,
সুন্দরী কন্যারা গান লয়ে,
গড়েতেছে যৌবন-মহল।”

FacebookX

সময় পেলেই মানেকীতে সাম্প্রতিক ও সাধারণ বিষয়ে লেখা লিখি করি

Comments (0)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back To Top