Skip to content

মুদারাবা: একটি বিস্তারিত আলোচনা

মুদারাবা একটি ইসলামী অর্থনৈতিক চুক্তি যা মূলত সম্ভাব্য ব্যবসায়িক উত্সের বিনিয়োগের জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি একটি অংশীদারিত্বভিত্তিক চুক্তি যেখানে দুই পক্ষের মধ্যে একটি বিনিয়োগ সহযোগিতার মডেল তৈরি হয়।

#

মুদারাবার মূল উপাদানসমূহ

  1. পক্ষসমূহ

রাব-উল-মাল: মূলধন প্রদানকারী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান।
মুদারিব: ব্যবসা পরিচালনাকারী বা উদ্দ্যোক্তা ব্যক্তি।

  1. মূলধন

– মূলধন হতে পারে নগদ অর্থ বা সম্পদ।
– মূলধন প্রদানকারী সম্পূর্ণ ঝুঁকি বহন করে।

  1. লাভ এবং ক্ষতি

– লাভের বন্টন পূর্ব নির্ধারিত চুক্তি অনুযায়ী তারা নিজ নিজ অংশগ্রহণের ভিত্তিতে হবে।
– ক্ষতি হলে তা শুধুমাত্র মূলধন প্রদানকারী বহন করবে, যদি না ক্ষতি মুদারিবের অবহেলা বা অনিয়মের কারণে হয়।

#

মুদারাবার বিশেষ বৈশিষ্ট্য

ঝুঁকি ও দায়িত্ব: শুধুমাত্র রাব-উল-মাল ক্ষতির ঝুঁকি বহন করবেন যদি এটি তার দিক থেকে কোনো অবহেলার কারণে না ঘটে। মুদারিব শুধুমাত্র সময় এবং প্রচেষ্টার ক্ষতির সম্মুখীন হবেন।

স্বতন্ত্র চুক্তি: মুদারাবা চুক্তিতে উভয় পক্ষের সুযোগ ও কর্তব্য সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকতে হবে যাতে পরবর্তীকালে কোনোরকম বিরোধ বা দ্বিমত ঘটতে না পারে।

#

মুদারাবার প্রয়োগ

মুদারাবা সাধারণত ইসলামী ব্যাংকিং এবং ফাইন্যান্স সেক্টরে ব্যবহৃত হয় যেখানে ব্যাংক রাব-উল-মাল হিসাবে মূলধন সরবরাহ করে এবং গ্রাহক বা ম্যানেজার মুদারিব হিসাবে ব্যবসার পরিচালনা করে।

উপসংহার

মুদারাবা একটি যৌক্তিক এবং ন্যায্য মূলধন বিনিয়োগের পদ্ধতি যেখানে ঝুঁকি এবং লাভ বন্টন উভয় পক্ষের জন্য স্বচ্ছ হয়। এটি ইসলামী শিক্ষার উপর প্রতিষ্ঠিত নৈতিক বিনিয়োগের একটি প্রচলিত মডেল যা সঠিকভাবে প্রয়োগ করা হলে উন্নতি ও সাফল্যের পথ খুলে দেয়।

FacebookX

আমি নাজরিন আক্তার, সাধারণ ও অজানা বিষয়ে জানার অগ্রহী ! এখানে আমি এই গুলা নিয়ে নিয়মিত লেখা লেখি করতেছি ..

Comments (0)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back To Top