বিহিত মুদ্রা
সংজ্ঞা:
বিহিত মুদ্রা হলো এমন ধরনের অর্থ যা একটি দেশের আইনি কর্তৃপক্ষ কর্তৃক স্বীকৃত এবং গ্রহণযোগ্য মুদ্রা হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এটি সাধারণত অবাধে গ্রহণযোগ্য হয়, যা পণ্য ও সেবার বিনিময়ে অর্থ প্রদানের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে।
প্রধান বৈশিষ্ট্য:
- আইনি স্বীকৃতি:বিহিত মুদ্রা একটি দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক বা অর্থ সংস্থার মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদিত হয়।
- সর্বজনগ্রাহ্য:এটি সেই দেশের বাজারে সকল ব্যক্তি, ব্যবসা এবং প্রতিষ্ঠান দ্বারা গ্রহণযোগ্য হয়।
- অবাঞ্ছনীয়তা:আইন অনুযায়ী কেউ এটি গ্রহণ করতে বাধ্য থাকে, অর্থাৎ কোনো ব্যক্তি বা সংস্থা মুদ্রা হিসেবে এটি গ্রহণ করতে অস্বীকার করতে পারে না।
- মাথাপিছু মুদ্রণ ক্ষমতা:সাধারণত এই ধরনের মুদ্রা কেন্দ্রীয় ব্যাংক উপযুক্ত নিয়ম ও নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে নির্ধারিত পরিমাণে মুদ্রণ করে।
- পরিবর্তনযোগ্যতা:বিহিত মুদ্রা প্রায় সর্বদাই অন্যান্য দেশে প্রচলিত মুদ্রার সাথে বিনিময়যোগ্য হয়।
উদাহরণ:
বাংলাদেশে, বিহিত মুদ্রা হলো “টাকা,” যা বাংলাদেশ ব্যাংক দ্বারা ইস্যু করা হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, বিহিত মুদ্রা হলো “ডলার,” যা ফেডারেল রিজার্ভ দ্বারা ইস্যু করা হয়।
বিঃদ্রঃ:
বিহিত মুদ্রার ধারণা বিভিন্ন দেশে আর্থিক নীতি এবং আইন অনুযায়ী পরিবর্তিত হতে পারে। এতে ডিজিটাল বা ক্রিপ্টোকারেন্সিগুলি অন্তর্ভুক্ত নয়, যা সাধারণত কোনো দেশের আইনি স্বীকৃতি পায় না।
এটি অর্থনীতি এবং আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।