বিদআতকে সাধারণত দুটি ভাগে ভাগ করা যায়: বিদআতে হাসানা (ভালো বা সহীহ বিদআত) এবং বিদআতে সাইয়্যা (খারাপ বা গুমরাহ বিদআত)। নিচে তাদের বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:
১. বিদআতে হাসানা (ভালো বা সহীহ বিদআত)
এই ধরনের বিদআত এমন কাজ বা আমলকে বোঝায় যা কুরআন ও হাদিসের সাথে সংঘাতমুক্ত এবং যা ইসলামি শিক্ষা ও মানকে সমর্থন করে। ইসলামের প্রাথমিক যুগে সরাসরি উপস্থিত না থাকলেও পরবর্তীকালে ধীরে ধীরে প্রয়োজনের প্রেক্ষিতে সেগুলির সঠিক ব্যাখ্যা বা ইজতিহাদ করা হয়। উদাহরণ:
– মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা: শিক্ষার প্রচার ও প্রসারের জন্য মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করা বিদআতে হাসানার অন্তর্ভুক্ত।
– ঈদের জামাতে মাইকে আজান দেয়া।
২. বিদআতে সাইয়্যা (খারাপ বা গুমরাহ বিদআত)
এই ধরনের বিদআত ইসলামের মূল শিক্ষা ও নির্দেশনার বিরোধিতা করে এবং ধর্মে নতুন কিছু যোগ করে যা কুরআন ও সুন্নাহ দ্বারা অনুমোদিত নয়। এ ধরনের বিদআত থেকে দূরে থাকা মুসলমানদের কর্তব্য। উদাহরণ:
– কবর পূজা করা: ইসলামের মৌলিক নীতির বিপরীতে কবর পূজায় জড়িত হওয়া বিদআতে সাইয়্যার অন্তর্ভুক্ত।
– ইসলামে নির্ধারিত হালাল ও হারামের তালিকায় পরিবর্তন আনা।
বিদআত থেকে বিরত থাকা মানে ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা অনুসরণ করা এবং মহানবী (সা.)-এর সুন্নাহকে যথাযথভাবে পালন করা। বিদআত প্রচলনে মুসলমানদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি হয় এবং সঠিক পথ থেকে বিচ্যুতির আশঙ্কা থাকে। তাই বিদআতের ব্যাপারে সচেতন হওয়া জরুরি।