বিদআত কত প্রকার ও কি কি?

বিদআতকে সাধারণত দুটি ভাগে ভাগ করা যায়: বিদআতে হাসানা (ভালো বা সহীহ বিদআত) এবং বিদআতে সাইয়্যা (খারাপ বা গুমরাহ বিদআত)। নিচে তাদের বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:

১. বিদআতে হাসানা (ভালো বা সহীহ বিদআত)

এই ধরনের বিদআত এমন কাজ বা আমলকে বোঝায় যা কুরআন ও হাদিসের সাথে সংঘাতমুক্ত এবং যা ইসলামি শিক্ষা ও মানকে সমর্থন করে। ইসলামের প্রাথমিক যুগে সরাসরি উপস্থিত না থাকলেও পরবর্তীকালে ধীরে ধীরে প্রয়োজনের প্রেক্ষিতে সেগুলির সঠিক ব্যাখ্যা বা ইজতিহাদ করা হয়। উদাহরণ:

– মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা: শিক্ষার প্রচার ও প্রসারের জন্য মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করা বিদআতে হাসানার অন্তর্ভুক্ত।
– ঈদের জামাতে মাইকে আজান দেয়া।

২. বিদআতে সাইয়্যা (খারাপ বা গুমরাহ বিদআত)

এই ধরনের বিদআত ইসলামের মূল শিক্ষা ও নির্দেশনার বিরোধিতা করে এবং ধর্মে নতুন কিছু যোগ করে যা কুরআন ও সুন্নাহ দ্বারা অনুমোদিত নয়। এ ধরনের বিদআত থেকে দূরে থাকা মুসলমানদের কর্তব্য। উদাহরণ:

– কবর পূজা করা: ইসলামের মৌলিক নীতির বিপরীতে কবর পূজায় জড়িত হওয়া বিদআতে সাইয়্যার অন্তর্ভুক্ত।
– ইসলামে নির্ধারিত হালাল ও হারামের তালিকায় পরিবর্তন আনা।

বিদআত থেকে বিরত থাকা মানে ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা অনুসরণ করা এবং মহানবী (সা.)-এর সুন্নাহকে যথাযথভাবে পালন করা। বিদআত প্রচলনে মুসলমানদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি হয় এবং সঠিক পথ থেকে বিচ্যুতির আশঙ্কা থাকে। তাই বিদআতের ব্যাপারে সচেতন হওয়া জরুরি।

FacebookX
Najrin Akter
Najrin Akter

আমি নাজরিন আক্তার, সাধারণ ও অজানা বিষয়ে জানার অগ্রহী ! এখানে আমি এই গুলা নিয়ে নিয়মিত লেখা লেখি করতেছি ..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *