পাণ্ডুলিপি হল হাতে লেখা কোন লিখিত রচনা। এটি কাগজ, পাতা, খেজুরপাতা ইত্যাদির উপর কলম, কালি, কাঠকয়লা ইত্যাদি ব্যবহার করে লেখা হতে পারে।
পাণ্ডুলিপি বিভিন্ন ধরণের হতে পারে, যেমন:
- সাহিত্যকর্ম (উপন্যাস, কবিতা, নাটক, ইত্যাদি)
- ধর্মীয় গ্রন্থ
- ঐতিহাসিক নথি
- বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ
- ব্যক্তিগত চিঠিপত্র
- দৈনন্দিন লেখা
প্রাচীনকালে, যখন মুদ্রণযন্ত্র আবিষ্কার হয়নি, তখন পাণ্ডুলিপি ছিল তথ্য সংরক্ষণ ও প্রচারের প্রধান মাধ্যম।
লেখকরা তাদের রচনা পাণ্ডুলিপি আকারে লিখতেন এবং পাণ্ডুলিপিগুলি প্রতিনিধি করে নতুন করে লেখা হত।
গ্রন্থাগারগুলিতে পাণ্ডুলিপিগুলি সংরক্ষণ করা হত এবং বিদ্বানরা পাঠ্য অধ্যয়ন ও গবেষণার জন্য
আধুনিককালে, মুদ্রণযন্ত্রের আবিষ্কারের পর পাণ্ডুলিপির গুরুত্ব কিছুটা কমে গেছে।
তবে ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক দিক থেকে পাণ্ডুলিপি এখনও অত্যন্ত মূল্যবান।
বাংলাদেশে পাণ্ডুলিপির দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে।
বাংলা সাহিত্যের অনেক অমূল্য রচনা পাণ্ডুলিপি আকারে সংরক্ষিত রয়েছে।
বাংলাদেশ সরকার পাণ্ডুলিপি সংরক্ষণ ও সংস্কারের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
উল্লেখযোগ্য কিছু পাণ্ডুলিপি:
- চর্যাপদ
- লালসালু
- মৃত্যুঞ্জয়
- ধনঞ্জয়
- কবিরাজ
পাণ্ডুলিপি আমাদের ইতিহাস, সংস্কৃতি ও সাহিত্য সম্পর্কে অমূল্য তথ্য ধারণ করে।