Skip to content

তুরস্ক একটি আন্তঃমহাদেশীয় দেশ, অর্থাৎ এর কিছু অংশ এশিয়া মহাদেশে এবং কিছু অংশ ইউরোপ মহাদেশে অবস্থিত। এর ভৌগোলিক অবস্থান একে দুটি মহাদেশের মধ্যে একটি সেতুবন্ধন তৈরি করেছে।

তুরস্কের আয়তন প্রায় ৭৮৩,৫৬২ বর্গকিলোমিটার (৩০২,৫৩২ বর্গ মাইল)। এর মধ্যে ৯৭% এর বেশি আনাতোলিয়া উপদ্বীপে অবস্থিত, যা এশিয়ার অন্তর্ভুক্ত। বাকি অংশ, থ্রেস, বলকান উপদ্বীপের দক্ষিণ-পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত এবং এটি ইউরোপের অন্তর্ভুক্ত। তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারা আনাতোলিয়ার কেন্দ্রে অবস্থিত।

তুরস্কের উত্তরে কৃষ্ণ সাগর, পূর্বে জর্জিয়া, আর্মেনিয়া এবং আজারবাইজান, দক্ষিণে সিরিয়া ও ইরাক এবং পশ্চিমে এজিয়ান সাগর ও ভূমধ্যসাগর অবস্থিত। তুরস্কের পশ্চিমে গ্রিস ও বুলগেরিয়া অবস্থিত।

তুরস্কের ভূপ্রকৃতি বেশ বৈচিত্র্যময়। এখানে রয়েছে উঁচু পর্বতমালা, উর্বর সমভূমি, বন্ধুর উপকূলরেখা এবং সুন্দর সমুদ্র সৈকত। তুরস্কের সবচেয়ে উঁচু পর্বত হলো মাউন্ট আয়ারাত, যা ৫,১৩৭ মিটার (১৬,৮৫৩ ফুট) উচ্চতায় অবস্থিত।

তুরস্কের অর্থনীতি একটি উন্নয়নশীল অর্থনীতি। এখানে কৃষি, শিল্প এবং সেবা খাত তিনটিই গুরুত্বপূর্ণ। তুরস্কের প্রধান রপ্তানি দ্রব্যগুলো হলো টেক্সটাইল, খাদ্যসামগ্রী, অটোমোটিভ এবং যন্ত্রপাতি।

তুরস্কের সংস্কৃতি বেশ সমৃদ্ধ। এখানে বিভিন্ন সভ্যতা ও সংস্কৃতির প্রভাব দেখা যায়। তুরস্কের ভাষা তুর্কি। এখানকার প্রধান ধর্ম ইসলাম।

ঐতিহাসিকভাবে, তুরস্ক বিভিন্ন সাম্রাজ্যের অংশ ছিল। এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হলো অটোমান সাম্রাজ্য। ১৯২৩ সালে তুরস্ক একটি স্বাধীন প্রজাতন্ত্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।

বর্তমানে তুরস্ক একটি সংসদীয় গণতন্ত্র। তুরস্কের রাষ্ট্রপতি হলেন রাষ্ট্রের প্রধান এবং প্রধানমন্ত্রী হলেন সরকারের প্রধান।

তুরস্ক একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ, যা তার ভৌগোলিক অবস্থান, সংস্কৃতি এবং অর্থনীতির জন্য পরিচিত।

FacebookX

সময় পেলেই মানেকীতে সাম্প্রতিক ও সাধারণ বিষয়ে লেখা লিখি করি

Comments (0)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back To Top