কাপ্তাই বাঁধ খুলে দিলে কি হবে?

কাপ্তাই বাঁধ খুলে দেওয়া হলে এর সরাসরি প্রভাব পড়ে কর্ণফুলী নদীর পানির স্তরে। বর্তমানে কাপ্তাই বাঁধের পানি স্তর বৃদ্ধি পেলে বা বন্যার সময় বাঁধের চাপ কমানোর জন্য বাঁধের গেট খুলে দেওয়া হয়।

কাপ্তাই বাঁধ খুলে দেওয়ার ফলে সাধারণত নিম্নলিখিত পরিণতি ঘটতে পারে:

  • কর্ণফুলী নদীর পানি বৃদ্ধি: বাঁধের গেট খুলে দেওয়া হলে কাপ্তাই হ্রদের অতিরিক্ত পানি কর্ণফুলী নদীতে প্রবাহিত হয়। ফলে নদীর পানি স্তর দ্রুত বৃদ্ধি পায়।
  • পাশ্ববর্তী এলাকায় পানিবদ্ধতা: কর্ণফুলী নদীর তীরবর্তী এলাকাগুলোতে পানি বৃদ্ধির ফলে পানিবদ্ধতার সমস্যা দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে নিম্নাঞ্চলের বসতিগুলোতে এই সমস্যা বেশি দেখা যায়।
  • বন্যা পরিস্থিতি: যদি বাঁধের গেট খুব বেশি পরিমাণে খুলে দেওয়া হয় বা নদীর পানি স্রোত খুব বেশি থাকে, তাহলে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।
  • জীববৈচিত্র্যের উপর প্রভাব: নদীর পানি স্তরের হঠাৎ পরিবর্তন জীববৈচিত্র্যের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। নদীর তলদেশে বসবাসকারী জীবজন্তু ও উদ্ভিদের বাসস্থান নষ্ট হতে পারে।
  • কৃষি ও অর্থনীতির উপর প্রভাব: পানিবদ্ধতার ফলে কৃষি জমি ডুবে যাওয়া, ফসল নষ্ট হওয়া এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত হওয়ার কারণে অর্থনীতির উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।

কাপ্তাই বাঁধ খোলার সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে বিবেচ্য বিষয়:

  • পানি স্তর: কাপ্তাই হ্রদের পানি স্তর কতটা বৃদ্ধি পেয়েছে।
  • বৃষ্টিপাতের পরিমাণ: আগামী দিনগুলোতে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কত হবে।
  • নদীর স্রোত: কর্ণফুলী নদীর পানির স্রোত কতটা বেশি।
  • তীরবর্তী এলাকার জনসংখ্যা ও অবকাঠামো: নদীর তীরবর্তী এলাকায় কতজন মানুষ বাস করে এবং সেখানকার অবকাঠামো কতটা স্থিতিশীল।

সরকারি সংস্থাগুলো এই সব বিষয় বিবেচনা করে বাঁধের গেট খোলার সিদ্ধান্ত নেয়। তাদের লক্ষ্য থাকে পানিবদ্ধতা ও বন্যার ক্ষয়ক্ষতি কমানোর পাশাপাশি নদীর পরিবেশ রক্ষা করা।

FacebookX
Najrin Akter
Najrin Akter

আমি নাজরিন আক্তার, সাধারণ ও অজানা বিষয়ে জানার অগ্রহী ! এখানে আমি এই গুলা নিয়ে নিয়মিত লেখা লেখি করতেছি ..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *