নৈরাজ্য শব্দটির সরল অর্থ হল অব্যবস্থা, বিশৃঙ্খলা বা অশান্তি। কোনো একটি স্থানে যখন স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হয়, আইন-শৃঙ্খলা ভেঙে পড়ে এবং মানুষের জীবন ও সম্পত্তি বিপন্ন হয়, তখন সেখানে নৈরাজ্যের সৃষ্টি হয়।
নৈরাজ্যের কিছু উদাহরণ:
- সামাজিক নৈরাজ্য: দাঙ্গা, হরতাল, বিক্ষোভ ইত্যাদির ফলে সামাজিক জীবনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে পারে।
- রাজনৈতিক নৈরাজ্য: কোনো দেশে যখন রাজনৈতিক অস্থিরতা দেখা দেয়, তখন নৈরাজ্যের সৃষ্টি হতে পারে।
- অর্থনৈতিক নৈরাজ্য: অর্থনীতিতে হঠাৎ কোনো ধরনের সংকট দেখা দিলে নৈরাজ্যের সৃষ্টি হতে পারে।
- সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থার বিঘ্ন: যখন পুলিশ বা অন্য কোনো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সঠিকভাবে কাজ করতে পারে না, তখন নৈরাজ্যের সৃষ্টি হতে পারে।
নৈরাজ্যের কারণ:
নৈরাজ্যের অনেক কারণ থাকতে পারে, যেমন:
- রাজনৈতিক অস্থিরতা
- অর্থনৈতিক সমস্যা
- সামাজিক অসাম্য
- ধর্মীয় উগ্রতা
- প্রাকৃতিক দুর্যোগ
নৈরাজ্যের প্রভাব:
নৈরাজ্যের ফলে মানুষের জীবন ও সম্পত্তি বিপন্ন হয়, অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন ব্যাহত হয়।
নৈরাজ্য প্রতিরোধ:
নৈরাজ্য প্রতিরোধের জন্য সরকার, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং জনগণ সকলকেই সচেতন হতে হবে। সামাজিক সম্প্রীতি বজায় রাখা, আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা করা নৈরাজ্য প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।