অসাম্প্রদায়িক শব্দটি সাম্প্রদায়িকতার বিপরীত। যেখানে সাম্প্রদায়িকতা মানুষকে ধর্ম, জাতি, গোষ্ঠী বা অন্য কোনো ভিত্তিতে বিভক্ত করে, সেখানে অসাম্প্রদায়িকতা সকল মানুষকে সমান মনে করে।
অসাম্প্রদায়িকতার অর্থ
সহজ কথায়:
- সকলের সমান অধিকার: অসাম্প্রদায়িক মানে হল সকল মানুষের সমান অধিকার, সমান সুযোগ এবং সমান মর্যাদা।
- বিভেদহীন সমাজ: এটি একটি বিভেদহীন সমাজের স্বপ্ন দেখে যেখানে ধর্ম, জাতি, গোষ্ঠী কোনো বিষয় নয়।
- একতা ও সম্প্রীতি: অসাম্প্রদায়িকতা একতা ও সম্প্রীতির পক্ষে। এটি সকল মানুষকে একত্রিত করে একটি শান্তিপূর্ণ সমাজ গড়ার চেষ্টা করে।
উদাহরণ:
- একটি অসাম্প্রদায়িক স্কুলে সকল ধর্মের ছাত্রছাত্রীরা একসঙ্গে পড়াশোনা করে এবং কোনো ধরনের বৈষম্যের শিকার হয় না।
- একটি অসাম্প্রদায়িক দেশে সকল নাগরিক আইনের সমান চোখে দেখা হয় এবং তাদের ধর্ম বা জাতি নির্বিশেষে সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ করার অধিকার থাকে।
কেন অসাম্প্রদায়িকতা গুরুত্বপূর্ণ:
- শান্তিপূর্ণ সমাজ: অসাম্প্রদায়িকতা একটি শান্তিপূর্ণ সমাজ গড়ার মূল ভিত্তি।
- উন্নয়ন: এটি দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে সহায়তা করে।
- মানবতাবাদ: অসাম্প্রদায়িকতা মানবতাবাদের মূল মূল্যবোধকে প্রতিষ্ঠিত করে।
আমরা কীভাবে অসাম্প্রদায়িকতা গড়তে পারি:
- শিক্ষা: শিক্ষার মাধ্যমে মানুষকে অসাম্প্রদায়িকতার গুরুত্ব বুঝতে হবে।
- সহিষ্ণুতা: সকল ধর্ম, সংস্কৃতি ও জীবনযাত্রার প্রতি সহিষ্ণুতা বৃদ্ধি করতে হবে।
- সম্প্রীতি: বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্প্রীতি বৃদ্ধি করতে হবে।
- রাজনৈতিক ইচ্ছাশক্তি: রাজনৈতিক নেতৃত্বকে অসাম্প্রদায়িকতার পক্ষে কাজ করতে হবে।
মনে রাখতে হবে: অসাম্প্রদায়িকতা একটি আদর্শ। এটি গড়তে সময় এবং সকলের প্রচেষ্টা লাগবে।