পোষ্য কোটা বলতে বোঝায় সরকারি চাকরি ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে নির্দিষ্ট সংখ্যক আসন সংরক্ষণ করা, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
- ইতিহাস:
- ১৯৬২ সালে প্রথম জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু করা হয়।
- পরবর্তীতে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় ও সরকারি প্রতিষ্ঠানেও ছড়িয়ে পড়ে।
- বর্তমান অবস্থা:
- বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট আসনের ৮% এবং সরকারি চাকরিতে ৩০% পোষ্য কোটার জন্য সংরক্ষিত।
- বিভিন্ন সমালোচনা ও বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু।
- পক্ষে যুক্তি:
- শিক্ষক-কর্মচারীদের সন্তানদের সুযোগ বৃদ্ধি।
- প্রতিষ্ঠানের প্রতি তাদের আন্তরিকতা বৃদ্ধি।
- বিপক্ষে যুক্তি:
- মেধার পরিবর্তে পদবী ও পদখাতের ভিত্তিতে সুযোগ।
- প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় অসমতা সৃষ্টি।
- সাম্প্রতিক ঘটনা:
- ২০২২ সালে, পোষ্য কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়।
- সরকার কিছু সংস্কারের ঘোষণা দেয়।
মনে রাখবেন:
- পোষ্য কোটা একটি জটিল বিষয়, যার পক্ষে ও বিপক্ষে বেশ কিছু যুক্তি রয়েছে।
- বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে জ্ঞান রাখা গুরুত্বপূর্ণ।