হ্যাকিং কি?

হ্যাকিং বলতে একটি কম্পিউটার, নেটওয়ার্ক, বা সিস্টেমে অবৈধভাবে প্রবেশ বা নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার প্রক্রিয়াকে বোঝায়। এটি সাধারণত নিরাপত্তা ব্যবস্থার দুর্বলতা বা ফাঁকফোকর খুঁজে বের করে সেগুলো কাজে লাগিয়ে করা হয়।

হ্যাকিংয়ের ধরন:

  1. ইথিক্যাল হ্যাকিং (Ethical Hacking): এটি একটি বৈধ এবং নৈতিক পদ্ধতি। সাধারণত সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা এটি করেন, যাতে কোনো সিস্টেমের দুর্বলতা খুঁজে বের করে সেগুলো সমাধান করা যায়।
  2. ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকিং (Black Hat Hacking): এটি অবৈধ হ্যাকিং। অপরাধীরা সাধারণত আর্থিক লাভ, ডেটা চুরি বা ধ্বংস করার জন্য এটি করে।
  3. হোয়াইট হ্যাট হ্যাকিং (White Hat Hacking): ইথিক্যাল হ্যাকিংয়ের মতো। এটি বৈধ পদ্ধতিতে করা হয় এবং সাইবার নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য ব্যবহৃত হয়।
  4. গ্রে হ্যাট হ্যাকিং (Grey Hat Hacking): এটি সাদা এবং কালো হ্যাকিংয়ের মাঝামাঝি। এটি কোনো বৈধ অনুমতি ছাড়াই করা হয়, তবে হ্যাকার ক্ষতির উদ্দেশ্যে নয়, বরং দুর্বলতা দেখানোর জন্য করে।

হ্যাকিং কীভাবে করা হয়?

  • সিস্টেমের দুর্বলতা বা ফাঁক খুঁজে পাওয়া।
  • পাসওয়ার্ড ক্র্যাকিং বা অনুমতি ছাড়া সিস্টেমে প্রবেশ করা।
  • ম্যালওয়্যার (ভাইরাস, র‍্যানসমওয়্যার) ব্যবহার করে সিস্টেম নিয়ন্ত্রণ নেওয়া।
  • ফিশিং (Phishing) বা প্রতারণার মাধ্যমে তথ্য হাতিয়ে নেওয়া।

হ্যাকিং প্রতিরোধের উপায়:

  • শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা।
  • নিয়মিত সফটওয়্যার আপডেট রাখা।
  • ফায়ারওয়াল এবং অ্যান্টি-ভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার করা।
  • অজানা লিংক বা ইমেইল থেকে সাবধান থাকা।
  • দ্বি-স্তরের যাচাই (Two-Factor Authentication) চালু রাখা।

হ্যাকিং একটি শক্তিশালী টুল হতে পারে, তবে এটি নৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত না হলে, এটি অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হয় এবং শাস্তিযোগ্য।

FacebookX
Najrin Akter
Najrin Akter

আমি নাজরিন আক্তার, সাধারণ ও অজানা বিষয়ে জানার অগ্রহী ! এখানে আমি এই গুলা নিয়ে নিয়মিত লেখা লেখি করতেছি ..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *