Skip to content


হাইপোগ্লাইসেমিয়া হলো এমন একটি অবস্থা যখন রক্তের শর্করা মাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় কমে যায়। সাধারণত ৩.৯ mmol/L (৭০ mg/dL)- এর কম রক্তে শর্করা মাত্রা থাকলে হাইপোগ্লাইসেমিয়া ধরা হয়।

হাইপোগ্লাইসেমিয়ার সবচেয়ে সাধারণ কারণ হলো ইনসুলিন বা ইনসুলিন উৎপাদনকারী ওষুধের অতিরিক্ত ব্যবহার। ইনসুলিন হলো একটি হরমোন যা শরীরের কোষগুলিতে শর্করা প্রবেশ করতে সাহায্য করে। ইনসুলিনের অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে শরীরে শর্করার মাত্রা খুব দ্রুত কমে যেতে পারে।

হাইপোগ্লাইসেমিয়ার অন্যান্য সম্ভাব্য কারণগুলি হলো:

  • দীর্ঘক্ষণ খাবার না খাওয়া
  • দীর্ঘক্ষণ কঠোর ব্যায়াম করা
  • অসুস্থতার পর খাবার খেতে না পারলে বা খাবার কম খেলে
  • অ্যালকোহল সেবন
  • নির্দিষ্ট কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

হাইপোগ্লাইসেমিয়ার লক্ষণগুলি সাধারণত দ্রুত শুরু হয় এবং দ্রুত তীব্র হয়। হাইপোগ্লাইসেমিয়ার কিছু সাধারণ লক্ষণ হলো:

  • অতিরিক্ত ঘাম হওয়া
  • কাঁপুনি
  • অস্থিরতা
  • দুর্বলতা
  • মাথাব্যথা
  • চোখে ঝাপসা দেখা
  • ঘুম ঘুম ভাব
  • অজ্ঞান হওয়া

হাইপোগ্লাইসেমিয়ার লক্ষণগুলি দেখা দিলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চিনি বা কার্বোহাইড্রেট গ্রহণ করা গুরুত্বপূর্ণ। চিনি বা কার্বোহাইড্রেট গ্রহণের মাধ্যমে রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বৃদ্ধি পাবে। চিনি বা কার্বোহাইড্রেট গ্রহণের কিছু উপায় হলো:

  • ফলের রস
  • দুধ
  • শরবত
  • চিনিযুক্ত খাবার
  • গ্লুকোজ ট্যাবলেট
  • গ্লুকোজ জেল

হাইপোগ্লাইসেমিয়ার লক্ষণগুলি দেখা দিলে নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি গ্রহণ করা যেতে পারে:

  1. 15 গ্রাম চিনি বা কার্বোহাইড্রেট গ্রহণ করুন।
  2. 15 মিনিটের মধ্যে আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা পরীক্ষা করুন।
  3. যদি আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা এখনও স্বাভাবিকের নিচে থাকে, তাহলে আরও 15 গ্রাম চিনি বা কার্বোহাইড্রেট গ্রহণ করুন।
  4. আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিক হওয়ার পর, পরবর্তী খাবার বা ওষুধের সময় পর্যন্ত 30-60 গ্রাম চিনি বা কার্বোহাইড্রেট গ্রহণ করুন।

হাইপোগ্লাইসেমিয়া গুরুতর হতে পারে, এমনকি মৃত্যুও হতে পারে। তাই হাইপোগ্লাইসেমিয়ার লক্ষণগুলি সনাক্ত করতে সক্ষম হওয়া এবং তাৎক্ষণিকভাবে চিকিত্সা করা গুরুত্বপূর্ণ।

ডায়াবেটিস রোগীদের হাইপোগ্লাইসেমিয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের হাইপোগ্লাইসেমিয়ার লক্ষণগুলি সম্পর্কে সচেতন থাকা এবং হাইপোগ্লাইসেমিয়ার প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। হাইপোগ্লাইসেমিয়ার প্রতিরোধের কিছু উপায় হলো:

  • নির্দিষ্ট সময় পর পর খাবার খাওয়া এবং ওষুধ সেবন করা
  • ব্যায়াম করার আগে এবং পরে পর্যাপ্ত খাবার খাওয়া
  • অ্যালকোহল সেবনে সতর্কতা অবলম্বন করা
  • নির্দিষ্ট কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে সচেতন থাকা

হাইপোগ্লাইসেমিয়ার লক্ষণগুলি সনাক্ত করতে এবং তাৎক্ষণিকভাবে চিকিত্সা করতে সক্ষম হওয়ার জন্য ডায়াবেটিস রোগীদের হাইপোগ্লাইসেমিয়ার জন্য প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হওয়া উচিত।tunesharemore_vertadd_photo_alternate

FacebookX

আমি নাজরিন আক্তার, সাধারণ ও অজানা বিষয়ে জানার অগ্রহী ! এখানে আমি এই গুলা নিয়ে নিয়মিত লেখা লেখি করতেছি ..

Comments (0)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back To Top