বাংলাদেশের কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধ এবং নিয়ন্ত্রণের জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এসব কার্যক্রমের মূল লক্ষ্য হলো স্থানীয় জনগণের মাঝে অসংক্রামক রোগ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা, রোগ নির্ণয়, এবং প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা প্রদান করা। নিম্নে কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে পরিচালিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রমের উল্লেখ করা হলো:
১. সচেতনতামূলক কার্যক্রম:
- প্রশিক্ষণ ও কাউন্সেলিং: জনগণকে বিভিন্ন অসংক্রামক রোগ যেমন ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, ক্যান্সার ইত্যাদি সম্পর্কে সচেতন করা এবং রোগ প্রতিরোধের জন্য স্বাস্থ্যসম্মত জীবনযাপনের উপদেশ দেয়া।
- জনমুখী প্রচারণা: লিফলেট, পোস্টার এবং স্থানীয় সভা-সমাবেশের মাধ্যমে অসংক্রামক রোগের প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করা।
২. রোগ নির্ণয় এবং পর্যবেক্ষণ:
- ব্লাড প্রেশার পরীক্ষা: উচ্চ রক্তচাপ শনাক্ত করার জন্য নিয়মিতভাবে ব্লাড প্রেশার মাপা।
- রক্তের গ্লুকোজ পরীক্ষা: ডায়াবেটিস নির্ণয়ের জন্য রক্তের গ্লুকোজ পরীক্ষা।
- BMI নির্ণয়: বডি মাস ইনডেক্স (BMI) মাপা, যা ওজন এবং উচ্চতার অনুপাত নির্ণয় করে অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতার ঝুঁকি সম্পর্কে ধারণা দেয়।
৩. প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা:
- ওষুধ প্রদান: উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, অ্যাজমা ইত্যাদি রোগের জন্য প্রাথমিক ওষুধ প্রদান।
- ফলোআপ সেবা: অসংক্রামক রোগে আক্রান্ত রোগীদের নিয়মিত ফলোআপ এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ব্যবস্থা।
৪. স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরামর্শ:
- খাদ্যাভ্যাস: স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং শারীরিক ব্যায়াম সম্পর্কে জনগণকে পরামর্শ দেয়া।
- ধূমপান ও মদ্যপান বর্জন: ধূমপান, মদ্যপান ও অন্যান্য ক্ষতিকর অভ্যাস থেকে বিরত থাকার পরামর্শ প্রদান।
৫. রেফারাল সেবা:
- গুরুতর ক্ষেত্রে রেফারাল: গুরুতর বা জটিল অসংক্রামক রোগে আক্রান্ত রোগীদেরকে উচ্চতর চিকিৎসা কেন্দ্রে রেফার করা।
কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো এসব কার্যক্রমের মাধ্যমে স্থানীয় জনগণের মাঝে অসংক্রামক রোগের ঝুঁকি কমাতে এবং স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।