সাংস্কৃতিক ব্যবধান তত্ত্বের প্রবক্তা হলেন আমেরিকান সমাজবিজ্ঞানী উইলিয়াম ফ্রান্সিস অগবার্ন (William F. Ogburn)। তিনি ১৯২২ সালে তার বিখ্যাত গ্রন্থ “Social Change”-এ এই তত্ত্বটি প্রদান করেন।
অগবার্নের মতে, সামাজিক পরিবর্তন হল একটি জটিল প্রক্রিয়া যা বিভিন্ন সাংস্কৃতিক উপাদানের মধ্যে ব্যবধান সৃষ্টি করে। এই ব্যবধানকে সাংস্কৃতিক ব্যবধান বলে।
অগবার্নের মতে, সাংস্কৃতিক উপাদানগুলিকে দুটি ভাগে ভাগ করা যায়:
- প্রযুক্তিগত উপাদান: এই উপাদানগুলি হল বস্তুগত সংস্কৃতির উপাদান, যেমন যন্ত্রপাতি, প্রযুক্তি, এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা।
- অপ্রযুক্তিগত উপাদান: এই উপাদানগুলি হল সামাজিক সংস্কৃতির উপাদান, যেমন মূল্যবোধ, বিশ্বাস, এবং প্রতিষ্ঠান।
অগবার্নের মতে, প্রযুক্তিগত উপাদানগুলি পরিবর্তিত হয় দ্রুতগতিতে, যেখানে অপ্রযুক্তিগত উপাদানগুলি পরিবর্তিত হয় ধীরগতিতে। এই কারণে, সাংস্কৃতিক ব্যবধান সৃষ্টি হয়।
সাংস্কৃতিক ব্যবধানের কিছু উদাহরণ হল:
- প্রযুক্তির দ্রুত অগ্রগতি সমাজের মূল্যবোধ এবং বিশ্বাসের সাথে অসামঞ্জস্য সৃষ্টি করতে পারে।
- নতুন প্রযুক্তির প্রবর্তন সামাজিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে পরিবর্তন করতে পারে।
- সামাজিক পরিবর্তন সামাজিক বিরোধের দিকে নিয়ে যেতে পারে।
অগবার্নের সাংস্কৃতিক ব্যবধান তত্ত্ব একটি গুরুত্বপূর্ণ সমাজবিজ্ঞান তত্ত্ব। এই তত্ত্বটি সামাজিক পরিবর্তনের প্রক্রিয়া বোঝার জন্য একটি কার্যকর সরঞ্জাম।