সরকারি অর্থব্যবস্থা এমন একটি অর্থনৈতিক কাঠামো যা দ্বারা সরকার তার আর্থিক সম্পদ সংগ্রহ, ব্যয়, ও সঞ্চালন করে। এটি একটি দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা, উন্নয়ন এবং সুশাসন নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ। সরকারি অর্থব্যবস্থা বিভিন্ন উপাদানের সমন্বয়ে গঠিত। নিচে এর প্রধান উপাদানগুলি বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো:
১. রাজস্ব
রাজস্ব হল সরকারের বিভিন্ন উৎস থেকে আয়। এটি মূলত দুই প্রকার হতে পারে:
– আয়কর ও ট্যাক্স:ব্যক্তি এবং কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান থেকে আদায়কৃত কর যা সরকারের প্রধান আয়ের উৎস।
– অযৌক্তিক রাজস্ব:প্রাকৃতিক সম্পদ বিক্রি, সেবার ফি এবং অন্যান্য সরকারি সম্পদ থেকে আয়।
২. সরকারি ব্যয়
সরকার নীতি ও সেবা বাস্তবায়নের জন্য যে ব্যয় করে তা হল সরকারি ব্যয়। এর মধ্যে থাকে:
– পরিষেবা ব্যয়:শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সড়ক ও পরিবহন ইত্যাদি খাতে ব্যয়।
– মূলধনী ব্যয়:অবকাঠামো উন্নয়ন এবং অন্যান্য সম্পদ সৃষ্টিতে বিনিয়োগ।
৩. বাজেট
বাজেট হল সরকারের আয়ের এবং ব্যয়ের পরিকল্পনা। এটি সাধারণত বার্ষিক ভিত্তিতে তৈরি হয় এবং অর্থনৈতিক পরিকল্পনা নির্ধারণে সহায়ক।
৪. ঋণ ব্যবস্থাপনা
সরকার কখনও সখনও আয়ের তুলনায় ব্যয় বেশি হলে ঋণগ্রহণ করে। এটি হতে পারে:
– আভ্যন্তরীণ ঋণ:দেশের ভিতরে ব্যাংক ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণগ্রহণ।
– আন্তর্জাতিক ঋণ:বৈদেশিক সাহায্য বা ঋণ যা আন্তর্জাতিক সংস্থা বা দেশ থেকে সংগৃহীত হয়।
৫. আর্থিক নীতি
সরকারি অর্থব্যবস্থা কার্যকর করার জন্য আর্থিক নীতির প্রয়োজন যা নিম্নে বলছেঃ
– মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ।
– কর্মসংস্থান বৃদ্ধি।
– আর্থিক বৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিতকরণ।
সরকারি অর্থব্যবস্থা দেশের অর্থনৈতিক কার্যাবলী সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত করতে সাহায্য করে এবং এর সঠিক ব্যবস্থাপনা দেশকে দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়নের পথে অগ্রসর হতে সহায়ক।