রোজা মূলত মানুষের প্রবৃত্তি (নফস) এবং কু-অভ্যাসগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। এটি শারীরিক ও আত্মিক পরিশুদ্ধির একটি উপায়।
১. নফস বা প্রবৃত্তি নিয়ন্ত্রণ
✅ খাবার, পানীয় ও দৈহিক চাহিদা সংযত রাখে।
✅ ধৈর্য ও সংযম শেখায়।
✅ অহেতুক রাগ, লোভ ও কু-প্রবৃত্তি দমন করে।
✅ আত্মশুদ্ধি ও আল্লাহভীতি (তাকওয়া) বৃদ্ধি করে।
📖 কুরআনে আল্লাহ বলেন:
“হে মুমিনগণ! তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেমন তোমাদের পূর্ববর্তী উম্মতের ওপর ফরজ করা হয়েছিল—যাতে তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পারো।”
📌 (সূরা আল-বাকারা: ১৮৩)
২. খারাপ অভ্যাস নিয়ন্ত্রণ
✅ মিথ্যা, গীবত, ঝগড়া-বিবাদ থেকে বিরত রাখে।
✅ অশ্লীলতা ও গুনাহ থেকে দূরে থাকতে সাহায্য করে।
✅ ধূমপান বা অন্য আসক্তিগুলো কমানোর সুযোগ দেয়।
৩. শরীর ও মন নিয়ন্ত্রণ
✅ খাদ্য গ্রহণে শৃঙ্খলা আনে ও স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
✅ মানসিক স্থিরতা ও ধৈর্য বাড়ায়।
✅ হতাশা, দুশ্চিন্তা ও ক্রোধ কমায়।
📖 হাদিসে এসেছে:
“রোজা (সিয়াম) হলো ঢালস্বরূপ, যা তোমাদেরকে দোজখের আগুন থেকে রক্ষা করবে।”
📌 (সহিহ বুখারি: ১৮৯৪, সহিহ মুসলিম: ১১৫১)
উপসংহার
রোজা মানুষের খাবার, প্রবৃত্তি, মন, আচরণ, ও শরীর—সবকিছুকে নিয়ন্ত্রণ করতে শেখায় এবং আল্লাহর সন্তুষ্টির পথে পরিচালিত করে। 💙✨
Comments (0)