প্রিয় দ্বীনি ভাই ও বোনেরা আমাদের বছরের দুইটি ঈদ রয়েছে। ঈদুল ফিতর /রোজার ঈদ ও ঈদুল আযহা। ঈদুল ফিতর দীর্ঘ ১ মাস রোজা রাখার পর ঈদের আনন্দে মেতে উঠে মুসলিম ভাই ও বোনেরা। তাই অনেকে ঈদুল ফিতর কবে এটা জানতে আগ্রহী থাকেন। অনেক সময় রোজা ২৯ টা হয়ে থাকে আবার অনেক সময় ৩০ টা। কিন্তু এই বছর ইসলামি ফাউন্ডেশন কর্তৃক প্রকাশিত রমজানের ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ৩০ টা রোজা হবে। বাকি চাঁদ দেখার উপর নির্ভরশীল। তাই আসুন জেনে নেই ২০২৩ সালের রোজার ঈদ কত তারিখে।
বাংলাদেশে ২০২৩ সালের রোজার ঈদ কত তারিখে| ঈদ উল ফিতর ২০২৩
প্রায় ৯০% মুসলমানের বসবাস বাংলাদেশে তাই এদেশের সবেচেয় বড়ো অনুষ্ঠান হচ্ছে ঈদ উল ফিতর বা রোজার ঈদ। এখন জানবো ২০২৩ সালের রোজার ঈদ কত তারিখে বা ঈদ উল ফিতর ২০২৩ কবে।
আরবি মাস মূলত চাঁদ দেখার উপর নির্ভরশীল তাই ২০২৩ সালের রোজার ঈদ কত তারিখে এটাও নির্ধারিত হবে চাঁদ দেখার উপরেই। তবে আনুমানিকভাবে বলা যায় ২১ এপ্রিল ২০২৩ সালের রোজার ঈদ বা ঈদ উল ফিতর পালিত হবে বাংলাদেশে।
অনেক সময় ২৯ রোজাতে রমজান মাস শেষ হয় সে হিসেবে চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করবে ২০২৩ সালের রোজার ঈদ কত তারিখে হবে বা ঈদ উল ফিতর ২০২৩ কবে।
ঈদ উল ফিতর ২০২৩ সরকারি ছুটি| ২০২৩ সালের রোজার ঈদ কত তারিখে
ঈদ উল ফিতর ২০২৩ অনুষ্ঠিত হবে চাঁদের উপর নির্ভর করে আনুমানিক ২১ এপ্রিল। এই হিসেবে ঈদ উল ফিতর ২০২৩ এর ছুটির দিন ২০, ২১ এবং ২২ এপ্রিল অর্থাৎ তিন দিন। এছাড়াও বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ঐচ্ছিকভাবে ৬ থেকে ৭ দিন পর্যন্ত ছুটি দিতে পারে। তবে ঈদ উল ফিতরের সরকারি ছুটি ২০, ২১, ২২ এপ্রিল (চাঁদ দেখার উপর নির্ভরশীল)।
ঈদ উল ফিতরের সুন্নত| ২০২৩ সালের রোজার ঈদ কত তারিখে বা ঈদ উল ফিতর ২০২৩
ঈদ উল ফিতরের সুন্নত অনেকগুলি রয়েছে যেগুলি আমাদের প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) পালন করতেন। তাই আমাদের সকলকে ঈদ উল ফিতরের সুন্নত পালন করতে হবে। নিচে ঈদ উল ফিতরের সুন্নত গুলি দেয়া হলো।
- হযরত মুহাম্মদ (সা.) অন্যান্য দিনের তুলনায় ঈদের দিনে তুলনামূলক আগে ঘুম থেকে উঠতেন। (বাইহাকী-৬১১২৬)
- সকাল সকাল উঠেই মেসওয়াক করে নেওয়া। (তাবয়ীনুল হাকায়েক)
- গোসল করে পাক পবিত্র হওয়া এবং শরীয়ত মতে সেজে রেডি হওয়া।
- আপনার সবচেয়ে সুন্দর পোষাকটি পরিধান করা অর্থাৎ আপনার সামর্থের মধ্যে সবচেয়ে ভালো জামাকাপড় পরিধান করা।
- শরীরে সুগন্ধি অর্থাৎ হালাল পারফিউম অথবা আতর ব্যাবহার করা।
- নবীজি (সা.) ঈদের দিন ঈদের নামাজ পড়তে যাওয়ার আগে মিস্টি জাতীয় কিছু খেয়ে যেতেন তাই এটি আমাদের জন্য অন্যতম একটি সুন্নত।
- ঈদের নামাজ পড়তে বের হতে হবে সকাল সকাল।
- সকল সাদকায়ে ফিতর গরীবদের দিতে হবে ঈদের নামাজে যাওয়ার পূর্বেই।
- ঈদ উল ফিতরের নামাজ আদায় করতে যাওয়ার সময় তাকবীর পড়তে পড়তে পায়ে হেঁটে যাওয়া।