রক্তরসে পানির পরিমাণ প্রায় ৯২%।
রক্তের তরল অংশকে রক্তরস বলে। এটি প্লাজমা নামেও পরিচিত। রক্তরসে পানির পাশাপাশি বিভিন্ন দ্রবীভূত পদার্থ থাকে, যেমন:
- প্রোটিন (অ্যালবুমিন, গ্লোবুলিন ইত্যাদি)
- গ্লুকোজ
- খনিজ আয়ন (সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ক্লোরাইড ইত্যাদি)
- হরমোন
- বর্জ্য পদার্থ (কার্বন ডাই অক্সাইড)
- রক্তকণিকা (লোহিত রক্তকণিকা, শ্বেত রক্তকণিকা, অণুচক্রিকা)
রক্তরসের পানি শরীরে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে, যেমন:
- দেহের কোষগুলোতে পুষ্টি ও অক্সিজেন সরবরাহ
- দেহের বর্জ্য পদার্থ অপসারণ
- দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ
- দেহের pH ভারসাম্য বজায় রাখা
- রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ
উল্লেখ্য, রক্তরসে পানির পরিমাণ কমে গেলে ডিহাইড্রেশন হতে পারে। ডিহাইড্রেশনের লক্ষণ ও উপসর্গগুলো হলো:
- তৃষ্ণার্ত হওয়া
- মুখ শুকিয়ে যাওয়া
- প্রস্রাব কম হওয়া
- প্রস্রাব গাঢ় হলুদ রঙের হওয়া
- মাথাব্যথা
- ক্লান্তি
- মাথা ঘোরা
ডিহাইড্রেশন রোধ করতে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা উচিত।