মুসলিম দর্শন একটি গভীর ও বিশদ শাস্ত্র যা ইসলামের মৌলিক বিশ্বাস ও আদর্শের উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। এর কেন্দ্রীয় ভিত্তিগুলি নিম্নরূপ:
১. তাওহিদ (ঈশ্বরের একত্ব):
তাওহিদ হল মুসলিম বিশ্বাসের মূল স্তম্ভ, যেখানে আল্লাহ’র একত্বকে স্বীকার করা হয়। আল্লাহ এক এবং অদ্বিতীয়, এবং তাঁর সাথে কোনো সৃষ্টির তুলনা করা যায় না।
২. নবুয়ত (প্রবচন):
নবী ও রসূলরা আল্লাহ’র পাঠানো বার্তাবাহক। তাদের মাধ্যমে আল্লাহ মানবজাতিকে সঠিক পথের দিশা দিয়েছেন। মুহাম্মদ (সাঃ) শেষ নবী।
৩. কুরআন:
কুরআন মুসলিম দর্শনের অন্যতম প্রধান উৎস। এটি আল্লাহ প্রেরিত পবিত্র গ্রন্থ, যা সব কালের জন্য মানুষের পথপ্রদর্শক।
৪. আখিরাত (পরকাল):
মুসলিম দর্শন অনুসারে, দুনিয়ার জীবনের পর পরকালীন জীবন আছে। মানুষ সেখানে তার কর্মের প্রতিদান পাবে।
৫. শারিয়া (ইসলামী আইন):
শারিয়া হল ইসলামী আইন যা কুরআন ও হাদিসের ভিত্তিতে পরিচালিত। এটি মানবজীবনের সব দিক নির্দেশনা প্রদান করে।
৬. আকিদা (বিশ্বাস):
মুসলমানদের বিশ্বাসের মূলনীতি, যা অন্তর্ভুক্ত করে আল্লাহ’র সকল সিফাত (গুণাবলী) ও কুদরতকে স্বীকার করে নেওয়া।
৭. ইজতিহাদ (ফিকহ এনালাইসিস):
ইজতিহাদ হল ইসলামী আইনের বিশ্লেষণ ও প্রয়োগের একটা প্রক্রিয়া, যেখানে জ্ঞানীরা কোরান ও হাদিসের ভিত্তিতে সমসাময়িক সমস্যার সমাধান করেন।
মুসলিম দর্শন বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন চিন্তাবিদ ও দার্শনিকদের দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে, যাঁরা এই দর্শনের বিভিন্ন দিক পাওয়া সত্ত্বেও মূলত এসব ভিত্তির উপরেই বিশ্বাস প্রস্তাব করেছেন।