জীবনানন্দ দাশের “বনলতা সেন” কবিতায় কাব্যিক ভাষার মাধ্যমে প্রাকৃতিক পরিবেশ ও স্নিগ্ধতার ছবি আঁকা হয়েছে। এই কবিতায় “চুল তার কবেকার অন্ধকার বিদিশার নিশা” এবং “মুখ তার শ্রীময়ী” ইত্যাদি বিমূর্ত বর্ণনার মধ্যে একটি দৃশ্যকল্প তৈরি করেছেন যেখানে বনলতা সেন চরিত্রের মাধ্যমে সময়হীনতা এবং স্বপ্নীলতার অভিব্যক্তি পাওয়া যায়।
শিশিরের শব্দের সাথে তুলনার ক্ষেত্রে বলা যায় যে, এটি কীভাবে কবিতার আবহের সাথে মিলেমিশে সৃষ্টি করে একটি নির্জন, নিঃশব্দ পরিবেশ যা কবিতার নায়ককে শান্তি দেয় এবং তাকে স্মৃতির জগতে নিয়ে যায়। তবে সরাসরি “শিশিরের শব্দ” শব্দবন্ধ কবিতায় ব্যবহার করা হয়নি, কিন্তু কবির বর্ণনার প্রবাহ ও মাধুর্য সেই অনুভূতিকে জাগিয়ে তোলে যেখানে প্রকৃতির স্নিগ্ধতা এবং নির্জনতা একসাথে মিলে সময়কে থমকে দেয়। এই নিস্তব্ধতার মধ্যে জীবনানন্দের কবিতা পাঠককে নিয়ে যায় এক অনন্ত সৌন্দর্যের জগতে।