প্রবৃদ্ধি বলতে বুঝায় কোনো কিছুতে বৃদ্ধি বা উন্নয়ন। অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে, প্রবৃদ্ধি হলো একটি দেশের উত্পাদনক্ষমতার বৃদ্ধি, যা সাধারণত মোট অভ্যন্তরীণ উত্পাদন (জিডিপি) দ্বারা পরিমাপ করা হয়।
বিস্তারিত:
অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি:
অর্থনৈতিকভাবে, প্রবৃদ্ধি মানে সম্পদ উত্পাদনের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়া। এটি সাধারণত নানা উপায়ে অর্জিত হয়:
– উৎপাদন প্রযুক্তির উন্নতি: নতুন ও উন্নত প্রযুক্তির উদ্ভাবন প্রবৃদ্ধিতে সহায়ক।
– শ্রম শক্তির বৃদ্ধি: দক্ষ ও প্রশিক্ষিত শ্রমিক সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়া।
– বিনিয়োগ: অবকাঠামো, শিক্ষা এবং গবেষণায় বিনিয়োগ প্রবৃদ্ধির সহায়ক।
– বাজার সম্প্রসারণ: রপ্তানি বৃদ্ধির মাধ্যমে নতুন বাজার দখল।
ব্যক্তিগত ও সামাজিক প্রবৃদ্ধি:
বৃহত্তর সমাজ বা ব্যক্তির জীবনে প্রবৃদ্ধি মানে গুণগত এবং মানগত উন্নয়ন।
– ব্যক্তিগত দক্ষতা উন্নয়ন: শিক্ষা ও অভিজ্ঞতার মাধ্যমে ব্যক্তি দক্ষতা বৃদ্ধি।
– স্বাস্থ্য ও জীবন মান: স্বাস্থ্যসেবা এবং জীবনযাত্রার মানের উন্নতি।
পরিবেশগত দিক:
প্রবৃদ্ধির সাথে সাথে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করাও গুরুত্বপূর্ণ। টেকসই প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে পরিবেশ সংরক্ষণ এবং পুনঃব্যবহারযোগ্য শক্তির বিকাশ জরুরি।
উপসংহার:
প্রবৃদ্ধি একটি বহুমাত্রিক ধারণা যা অর্থনৈতিক, ব্যক্তিগত, এবং সামাজিক ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জনের জন্য সকল ক্ষেত্রে ভারসাম্য রক্ষা করতে হবে।