পেজার, একসময়ের খুব জনপ্রিয় একটি যোগাযোগের মাধ্যম ছিল, যা এখন প্রায় বিলুপ্ত হয়ে গেছে। এটি ছিল একটি ছোট, পকেটে রাখার মতো যন্ত্র, যা কেবলমাত্র সংক্ষিপ্ত টেক্সট মেসেজ পাঠানো এবং গ্রহণ করার জন্য ব্যবহৃত হত।
পেজার কীভাবে কাজ করত:
- নম্বর ডায়াল করা: যখন কাউকে পেজারে মেসেজ পাঠাতে হতো, তখন একটি নির্দিষ্ট নম্বর ডায়াল করতে হতো।
- মেসেজ পাঠানো: নম্বর ডায়াল করার পর, একটি সংক্ষিপ্ত টেক্সট মেসেজ টাইপ করে পাঠানো হতো।
- মেসেজ গ্রহণ: মেসেজ পাঠানোর পর, পেজারটি একটি বিশেষ ধরনের সিগন্যাল গ্রহণ করত এবং ভাইব্রেট বা সাউন্ড করে জানাত যে মেসেজ এসেছে।
- মেসেজ দেখা: মেসেজ দেখার জন্য পেজারের একটি নির্দিষ্ট বোতাম চাপতে হতো।
পেজারের কিছু বৈশিষ্ট্য:
- সহজ ব্যবহার: পেজার ব্যবহার করতে খুব সহজ ছিল।
- সর্বত্র পাওয়া যায়: পেজার সর্বত্র পাওয়া যেত এবং এটি ব্যবহার করার জন্য কোনো নেটওয়ার্কের প্রয়োজন ছিল না।
- সীমিত ব্যবহার: পেজার দিয়ে শুধুমাত্র সংক্ষিপ্ত টেক্সট মেসেজ পাঠানো এবং গ্রহণ করা যেত। ফোন কল করা বা ইন্টারনেট ব্যবহার করা সম্ভব ছিল না।
পেজার কেন জনপ্রিয় ছিল:
- সহজ যোগাযোগ: পেজারের মাধ্যমে দ্রুত এবং সহজে যোগাযোগ করা যেত।
- সর্বত্র পাওয়া যায়: পেজার সর্বত্র পাওয়া যেত এবং এটি ব্যবহার করার জন্য কোনো নেটওয়ার্কের প্রয়োজন ছিল না।
- সুরক্ষা কর্মীদের জন্য উপযোগী: পেজার সুরক্ষা কর্মীদের জন্য খুবই উপযোগী ছিল, কারণ এটি দিয়ে তাদের দ্রুত যোগাযোগ করা যেত।
পেজার কেন আর ব্যবহৃত হয় না:
- মোবাইল ফোনের আগমন: মোবাইল ফোনের আবিষ্কারের সাথে সাথে পেজারের ব্যবহার কমতে শুরু করে। মোবাইল ফোন পেজারের চেয়ে অনেক বেশি কার্যকরী এবং এতে অনেক বেশি সুবিধা ছিল।
- প্রযুক্তির উন্নতি: প্রযুক্তির দ্রুত উন্নতির ফলে পেজারকে আরও উন্নত যোগাযোগের মাধ্যম দ্বারা প্রতিস্থাপিত করা হয়েছে।
সারসংক্ষেপ:
পেজার একসময়ের একটি জনপ্রিয় যোগাযোগের মাধ্যম ছিল, যা এখন প্রায় বিলুপ্ত হয়ে গেছে। মোবাইল ফোনের আবিষ্কার এবং প্রযুক্তির উন্নতির ফলে পেজারের ব্যবহার কমতে শুরু করে এবং এটি আর ব্যবহৃত হয় না।