নৈতিক বিবর্তনবাদ হলো নীতিশাস্ত্রের একটি ধারণা যা বলে যে নৈতিকতা সময়ের সাথে সাথে বিবর্তিত হয়। এই ধারণার সমর্থকরা বিশ্বাস করেন যে আমাদের নৈতিক নীতিমালা স্থির বা অপরিবর্তনীয় নয়, বরং পরিবেশগত পরিবর্তন, নতুন তথ্য এবং নৈতিক যুক্তির প্রভাবে পরিবর্তিত হয়।
নৈতিক বিবর্তনবাদের বেশ কিছু বিভিন্ন তত্ত্ব রয়েছে। কিছু তত্ত্ব জীববিজ্ঞানের উপর জোর দেয়, যুক্তি দেয় যে আমাদের নৈতিক অনুভূতি আমাদের জিনগত উত্তরাধিকার দ্বারা আংশিকভাবে নির্ধারিত হয়। অন্যরা সাংস্কৃতিক বিবর্তনের উপর জোর দেয়, যুক্তি দেয় যে আমাদের নৈতিক নীতিমালা আমাদের সংস্কৃতি দ্বারা আকার পায়। আবার অন্যরা ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার উপর জোর দেয়, যুক্তি দেয় যে আমাদের নিজস্ব জীবনের অভিজ্ঞতা আমাদের নৈতিক বিশ্বাসকে গঠনে সাহায্য করে।
নৈতিক বিবর্তনবাদের কিছু সম্ভাব্য প্রভাব রয়েছে:
- নৈতিক আপেক্ষিকতাবাদের সমর্থন: যদি নীতিশাস্ত্র বিবর্তিত হয়, তাহলে এটি বোঝায় যে কোন “সঠিক” বা “ভুল” নীতি নেই। পরিবর্তে, বিভিন্ন সমাজ এবং সংস্কৃতির জন্য বিভিন্ন নৈতিক নীতিমালা উপযুক্ত হতে পারে।
- নৈতিক সংস্কারের সম্ভাবনা: যদি নীতিশাস্ত্র বিবর্তিত হয়, তাহলে এটি বোঝায় যে আমরা আমাদের বর্তমান নৈতিক নীতিমালা উন্নত করতে পারি। নতুন তথ্য এবং যুক্তির ভিত্তিতে আমরা আমাদের নীতিমালা পরিবর্তন করতে পারি।
- নৈতিক বিতর্ক ব্যাখ্যা করার একটি উপায়: নৈতিক বিবর্তনবাদ আমাদের বুঝতে সাহায্য করতে পারে কেন বিভিন্ন লোক বিভিন্ন নৈতিক বিষয়ে ভিন্ন মতামত রাখে। বিভিন্ন লোকের বিভিন্ন অভিজ্ঞতা এবং নৈতিক নীতিমালার বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য থাকতে পারে।
নৈতিক বিবর্তনবাদ একটি জটিল এবং বিতর্কিত ধারণা। নীতিশাস্ত্র কীভাবে কাজ করে সে সম্পর্কে আমাদের বোঝার উপর এর গভীর প্রভাব ফেলতে পারে।