দেউল বিশেষ্য পদ ।যার অর্থ হলো দেবালয়, মন্দির।
দেউল এর সংজ্ঞা হলো :দেউল বা দেউল মহোৎসব হচ্ছে অসমের বরপেটা জেলায় পালন করা দৌল উৎসব। বরদোয়াতে মহাপুরুষ শ্রীমন্ত শংকরদেব দৌল উৎসবের সূচনা করেন যদিও বরপেটা ধামে ১৫১৮ সনে বরপেটা সত্রের মথুরা দাস বুঢ়া আতাই প্রথমবার এটি প্রচলন করেন। উক্ত বছর থেকে উৎসবটি পরম্পরাগত ভাবে উৎযাপিত হয়ে আসছে। প্রায় ১মাস আগের থেকে দেউল উৎসবের প্রস্তুতি কার্য আরম্ভ করা হয়। ধর্মীয় আচার, ভক্তিরস ও সম্বনয় ইত্যাদি ক্ষেত্রে দেউল উৎসব অসমের এক বিশেষ স্থান অধিকার করে রেখেছে।…
দেউলকে আরও তিন ভাগে ভাগ করা যায়-
- রেখা দেউল
- পিড়া দেউল
- বেগুনিয়া
রেখা দেউল-মুসলিম পূর্ববর্তী যুগের বাংলার মন্দিরগুলোর মধ্যে কিছু দেউল মন্দির এখনও ভালো ভাবে টিকে আছে। তাদের মধ্যে বরাকরের সিদ্ধেশ্বরী মন্দির অন্যতম।
পীঢ়া দেউল-মুঘল পূর্ববর্তী যুগে আরও একটি বিশেষ ধরনের মন্দির স্থাপত্যের নিদর্শন বাংলায় দেখা যায়। সেখানে তল বিশিষ্ঠ পিরামিডের মত কিছু মন্দির দেখা যায়। এদের পীরা দেউল বা ভদ্র দেউল বলে। পরবর্তিতে রেখা দেউলের সাথে পীরা দেউল মিশিয়ে আরও কিছু মন্দির গড়ে ওঠে।
বেগুনিয়া-বরাকরে দামোদর নদের প্রায় কোল ঘেঁষে চারটি মন্দির একত্রে বেগুনিয়া নামে পরিচিত। সুপ্রাচীন-ঐতিহাসিক, নান্দনিক এবং অপরিসীম প্রত্নতাত্ত্বিক মূল্যের নিদর্শন এই মন্দিরগুলি।আগে মোট ৫টি মন্দির ছিল। বর্তমানে চারটি অপূর্ব সুন্দর পাথরের দেউল অবশিষ্ট, এদের একত্রে সিদ্ধেশ্বর মন্দির বলা হয়। তৃতীয় মন্দিরটি পশ্চিমমুখী, বাকিগুলো সব পূর্বমুখী। চতুর্থ মন্দিরটি বাংলার সর্বপ্রাচীন দেউল স্থাপত্য।