তৈল রচনা অনুসারে সর্বশক্তিমান কে?

সর্বশক্তিমান সংক্রান্ত আলোচনা

সর্বশক্তিমান বলতে এমন এক সত্তাকে বোঝানো হয় যার শক্তি ও ক্ষমতা সীমাবদ্ধ নয় এবং যিনি সর্বত্র বিরাজমান। বিভিন্ন ধর্ম ও দর্শনে সর্বশক্তিমানের ধারণার ভিন্নতা থাকলেও কিছু সাধারণ দিক রয়েছে।

ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গি

  1. ইসলাম: ইসলাম ধর্মে “আল্লাহ” কে সর্বশক্তিমান হিসেবে মানা হয়। আল্লাহ সবকিছু সৃষ্টি করেছেন এবং তিনি সর্বজ্ঞ, সর্বশক্তিমান।
  1. হিন্দুধর্ম: হিন্দুধর্মে বিভিন্ন দেব-দেবীকে পূজা করা হয়, কিন্তু “ব্রহ্মা”, “বিষ্ণু” এবং “মহেশ্বর” (শিব) কে প্রধান তিনটি শক্তি হিসেবে ধরা হয়। এই তিনের সমষ্টিতে “ত্রিমূর্তি” ধারণা গঠিত হয়।
  1. খ্রিস্টান ধর্ম: খ্রিস্টান ধর্মে ঈশ্বর (গড) সর্বশক্তিমান, যিনি বিশ্বজগতের সৃষ্টিকর্তা। তিনি সবকিছু পরিচালনা করেন এবং যিশুখ্রিস্টের মাধ্যমে মানুষের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করেছেন।
  1. বৌদ্ধধর্ম: যদিও বৌদ্ধধর্ম প্রধানত নাস্তিকবাদী, তথাপি মহাযান বৌদ্ধধর্মে “অমিতাভ বুদ্ধ” বা বিভিন্ন বোধিসত্ত্বের মাধ্যমে সর্বশক্তিমানের ধারণা তুলে ধরা গেছে।

দার্শনিক ও সাংস্কৃতিক দৃষ্টিকোণ

দার্শনিক দৃষ্টিকোণ: অনেক দার্শনিক সর্বশক্তিমানকে এক সবকিছুর নিহিত কারণ হিসেবে বিবেচিত করেন। অ্যালান ওয়াটসের মতে, সর্বশক্তিমান কিনা তা মানুষের সীমিত বিবেচনার বাইরে।

সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপট: বিভিন্ন সংস্কৃতিতে সর্বশক্তিমানকে বিভিন্ন রূপে পুজা করা হয়। যেমন, গ্রিক পুরাণে জিউস এবং রোমান পুরাণে জুপিটার প্রধান দেবতা হিসেবে পূজিত।

উপসংহার

সর্বশক্তিমান ধারণা মানুষকে সৃষ্টির মহত্ত্ব ও রহস্যময়তাকে বোঝার প্রচেষ্টা করে। যদিও এই ধারণার প্রকাশ বিভিন্নভাবে হয়, সাধারণত, এটি একটি এমন শক্তি নির্দেশ করে যা সবাইকে আবদ্ধ করে রাখে এবং পরিচালনা করে।

FacebookX
Najrin Akter
Najrin Akter

আমি নাজরিন আক্তার, সাধারণ ও অজানা বিষয়ে জানার অগ্রহী ! এখানে আমি এই গুলা নিয়ে নিয়মিত লেখা লেখি করতেছি ..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *