গানের মূলত চারটি অংশ রয়েছে:
- স্থায়ী: গানের প্রথম কলি, যেখানে গানটির মূল সুর এবং কথা থাকে।
- অন্তরা: গানের দ্বিতীয় কলি, যেখানে গানটির ভাব প্রকাশের জন্য সুরের ছন্দ ও গতি পরিবর্তিত হয়।
- সঞ্চারী: গানের তৃতীয় কলি, যেখানে গানটির সুর ও কথার মাধ্যমে ভাব প্রকাশের গভীরতা বৃদ্ধি পায়।
- আভোগ: গানের চতুর্থ কলি, যেখানে গানটির মূল সুর ও কথা পুনরাবৃত্তি হয়।
এই চারটি অংশ ছাড়াও, গানের মধ্যে কখনো কখনো মধ্যম ও উত্তরা অংশ থাকে। মধ্যম অংশটি স্থায়ী ও অন্তরা অংশের মধ্যে থাকে এবং উত্তরা অংশটি সঞ্চারী ও আভোগ অংশের মধ্যে থাকে।
ছোট গানগুলিতে সাধারণত এই চারটি অংশই থাকে না। ছোট গানগুলিতে স্থায়ী ও আভোগ অংশ থাকতে পারে। আবার, কোনও কোনও ছোট গানে স্থায়ী অংশও থাকে না।
গানের অংশগুলিকে বিভিন্নভাবেও শ্রেণীবদ্ধ করা যায়। যেমন, গানগুলিকে তাদের সুরের ধরন অনুসারে কণ্ঠসঙ্গীত, যন্ত্রসঙ্গীত, বাদ্যযন্ত্র সহযোগে কণ্ঠসঙ্গীত ইত্যাদি শ্রেণীতে ভাগ করা যায়। আবার, গানগুলিকে তাদের বিষয়বস্তু অনুসারে প্রেমের গান, দেশপ্রেমের গান, ধর্মীয় গান, ঐতিহ্যবাহী গান ইত্যাদি শ্রেণীতে ভাগ করা যায়।
Comments (0)