কোণ কাকে বলে? কত প্রকার ও কি কি

কোণ হলো জ্যামিতির একটি মৌলিক ধারণা। যখন দুটি রশ্মি বা সরলরেখা একটি সাধারণ বিন্দু থেকে উৎপন্ন হয়, তখন তাদের মধ্যে যে ফাঁকা জায়গা বা ঘূর্ণন পরিমাপ হয় তাকে কোণ বলা হয়। যে বিন্দু থেকে রশ্মিগুলো উৎপন্ন হয় তাকে শীর্ষবিন্দু বা কোণের শীর্ষ বলে এবং রশ্মিগুলোকে বাহু বলে।


কোণের প্রকারভেদ:

কোণ তাদের মাপ বা গুণগত বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে বিভিন্ন প্রকারের হতে পারে। প্রধানত নিচের প্রকারগুলো রয়েছে:

১. শূন্য কোণ (Zero Angle):

  • কোণের মাপ: 0∘0^\circ।
  • দুই বাহু একেবারে একে অপরের উপর থাকে, ফলে কোনো ফাঁকা স্থান থাকে না।

২. সাম্যক কোণ (Acute Angle):

  • কোণের মাপ: 0∘0^\circ থেকে 90∘90^\circ-এর মধ্যে।
  • উদাহরণ: 45∘45^\circ।

৩. সমকোণ (Right Angle):

  • কোণের মাপ: ঠিক 90∘90^\circ।
  • এটি একটি সরল এবং গুরুত্বপূর্ণ কোণ।

৪. অধিক কোণ (Obtuse Angle):

  • কোণের মাপ: 90∘90^\circ থেকে 180∘180^\circ-এর মধ্যে।
  • উদাহরণ: 120∘120^\circ।

৫. সঠিক কোণ (Straight Angle):

  • কোণের মাপ: ঠিক 180∘180^\circ।
  • এটি একটি সরল রেখার সমতুল্য।

৬. অধিক সরল কোণ (Reflex Angle):

  • কোণের মাপ: 180∘180^\circ থেকে 360∘360^\circ-এর মধ্যে।
  • উদাহরণ: 270∘270^\circ।

৭. পূর্ণ কোণ (Complete Angle):

  • কোণের মাপ: 360∘360^\circ।
  • এটি একটি সম্পূর্ণ বৃত্তের সমতুল্য।

বিশেষ প্রকারের কোণ:

কিছু বিশেষ ক্ষেত্রে কোণের পরিচিতি আলাদা হতে পারে:

  • অন্তর্ভুক্ত কোণ (Interior Angle): পলিগনের ভেতরের কোণ।
  • বহিঃস্থ কোণ (Exterior Angle): পলিগনের বাইরের কোণ।
  • পরিপূরক কোণ (Complementary Angle): দুটি কোণের যোগফল 90∘90^\circ।
  • সম্পূরক কোণ (Supplementary Angle): দুটি কোণের যোগফল 180∘180^\circ।

কোণের ব্যবহার:

কোণ গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, স্থাপত্যবিদ্যা, প্রকৌশল, এবং বাস্তব জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

FacebookX
kamruz
kamruz

সময় পেলেই মানেকীতে সাম্প্রতিক ও সাধারণ বিষয়ে লেখা লিখি করি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *