কৃষ্ণকে ইসকন বা ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর কৃষ্ণা কনশাসনেস (ISKCON) প্রতিষ্ঠানের কেন্দ্রীয় ভক্তি ও উপাস্য হিসেবে গণ্য করা হয়।
কৃষ্ণ সম্পর্কে:
– ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট: কৃষ্ণ হিন্দু ধর্মের একজন প্রধান দেবতা। তাকে বিষ্ণুর অবতার হিসেবে বিবেচনা করা হয়। মহাভারত ও ভাগবত পুরাণে কৃষ্ণের জীবনী, কর্মকাণ্ড এবং শিক্ষা বিস্তারিত বর্ণিত হয়েছে।
– কেন্দ্রীয় উপাস্য: ভগবদ গীতা, যেখানে কৃষ্ণ অর্জুনকে জীবন ও ধর্ম সম্পর্কে শিক্ষা দিচ্ছেন, তা তাঁর একটি বিশেষ বাহন।
ইসকন প্রতিষ্ঠা:
– প্রতিষ্ঠাতা: ইসকন প্রতিষ্ঠা করেন শ্রীল অভয়চরণারবিন্দ ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদ।
– উদ্দেশ্য: ভক্তি যোগের মাধ্যমে কৃষ্ণ প্রেম ও সচেতনতা বাড়ানো।
ইসকনের কার্যক্রম:
– ভগবদ গীতা প্রচার: ইসকন কৃষ্ণের বার্তা ও শিক্ষাগুলি প্রচার করে যা ভগবদ গীতায় পাওয়া যায়।
– কীর্তন ও সংকীর্তন: ভক্তস্পন্দন ও গানের মাধ্যমে ভগবানের নামে পূজা ও ধ্যান করা।
– শিক্ষা ও প্রকাশনা: গ্রন্থ প্রকাশ ও শিক্ষামূলক কর্মশালার আয়োজন করে, যেমন ‘ভক্তি-শিক্ষা’।
উপসংহার:
ইসকন একটি বিশ্বব্যাপী আন্দোলন যা কৃষ্ণের ভক্তি ও সেবা প্রচারের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এটি বিশ্বের বহু দেশে কৃষ্ণের শিক্ষা ও বার্তা ছড়িয়ে দিয়েছে।