ইসকন কি হিন্দু?

ইসকন, বা আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ, একটি ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক সংগঠন যা ১৯৬৬ সালে এ. সি. ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদ দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়। ইসকন হিন্দু ধর্মের বৈষ্ণব শাখার অন্তর্গত, যা ভগবান কৃষ্ণকে কেন্দ্র করে ভক্তি আন্দোলন প্রচার করে।

ইসকন ও হিন্দু ধর্ম

ইসকন মূলত ভক্তি যোগ বা ভক্তি আন্দোলনের মাধ্যমে হিন্দু ধর্ম প্রচার করে। এটি হিন্দু ধর্মের বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠান, দর্শন এবং তত্ত্ব অনুসরণ করে, বিশেষত ভগবান কৃষ্ণ ও ভগবান বিষ্ণুর উপাসনা করে। ইসকনের অনুগামীরা ভগবান কৃষ্ণকে সর্বোচ্চ ঈশ্বর হিসেবে মান্য করে এবং তাঁকে প্রেম ও ভক্তির সাথে উপাসনা করে।

ইসকনের মূল শিক্ষা

  • ভগবদ্গীতা ও ভগবত পুরাণ:ইসকন এই দুই প্রাচীন শাস্ত্রকে প্রধান ধর্মগ্রন্থ হিসেবে দেখে। এই গ্রন্থগুলি থেকে উপদেশ নিয়ে ইসকনের ভক্তরা ভগবান কৃষ্ণের প্রতি ভক্তি বৃদ্ধি করেন।
  • সংকীর্তন বা হরে কৃষ্ণ মহামন্ত্রের জপ:ইসকনের ভক্তরা জপ এবং কীর্তনের মাধ্যমে ভগবান কৃষ্ণের নামগানের দ্বারা তাঁদের ভক্তি প্রকাশ করেন।
  • নিয়মিত পূজা ও সেবা:ইসকন মন্দিরগুলি ভক্তদের জন্য নিয়মিত পূজা, প্রার্থনা এবং সেবার আয়োজন করে থাকে।

ইসকনের উদ্দেশ্য

ইসকনের মূল উদ্দেশ্য হল বিশ্বব্যাপী কৃষ্ণভাবনার প্রচার এবং মানবসমাজের মধ্যে শুদ্ধ জ্ঞান এবং আধ্যাত্মিকতা তৈরি করা। ইসকন বৈষ্ণব আচার-অনুষ্ঠানগুলিকে উৎসাহিত করে এবং সমগ্র বিশ্বে ঐতিহ্যগত ভারতীয় সংস্কৃতি এবং ধর্ম প্রচার করার চেষ্টা করে।

উপসংহার

ইসকন হিন্দু ধর্মের অংশ হিসেবেই কাজ করে এবং বৈষ্ণব দর্শনের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী ভক্তি আন্দোলন পরিচালনা করে। সংগঠনটি ভগবদ্গীতা ও ভগবত পুরাণের প্রচারে বিশেষ গুরুত্ব দেয় এবং মানুষের মধ্যে আধ্যাত্মিক চেতনাকে জাগ্রত করতে কাজ করে।

FacebookX
Najrin Akter
Najrin Akter

আমি নাজরিন আক্তার, সাধারণ ও অজানা বিষয়ে জানার অগ্রহী ! এখানে আমি এই গুলা নিয়ে নিয়মিত লেখা লেখি করতেছি ..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *