ইগো শব্দটি মূলত লাতিন শব্দ “Ego” থেকে উদ্ভূত, যার অর্থ “আমি”। এটি মনোবিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধারণা, বিশেষ করে সিগমুন্ড ফ্রয়েডের মনোবিশ্লেষণ তত্ত্বে। ফ্রয়েডের মতে, ইগো হলো মন তিনটি প্রধান অংশের (ইড, ইগো এবং সুপারইগো) একটি।
নিচে ইগোর বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:
ইগোর ভূমিকা
1. বাস্তবতা যাচাই:
– ইগো বাস্তবতাকে গ্রহণ করে এবং তদনুযায়ী ইচ্ছা ও করণীয় নির্ধারণ করে। এটি বাসনা এবং তাৎক্ষণিক তৃপ্তির মধ্যবর্তী সেতুবন্ধন রচনা করে।
- সামঞ্জস্য লাভ:
– ইগো মানুষকে সামাজিক ও নৈতিক নিয়মাবলি অনুসারে আচরণ করতে সহায়তা করে। এটি নিজস্ব চাহিদা পূরণের পাশাপাশি সামাজিক সম্পর্ক বজায় রাখতে চেষ্টা করে।
- আকাঙ্ক্ষা নিয়ন্ত্রণ:
– ইগো ব্যক্তির অভ্যন্তরে প্রত্যক্ষ হওয়া বিভিন্ন প্রত্যাশা এবং কামনা নিয়ন্ত্রণ করে এবং তা সামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্যভাবে প্রয়োগে সাহায্য করে।
ইগোর প্রভাব
– আত্মমর্যাদাবোধ: ইগো ব্যক্তির আত্মমর্যাদাবোধের সাথে সম্পর্কিত এবং এটি ব্যক্তিত্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে কাজ করে।
– সংঘাত সমাধান: মানসিক সংঘাত ও দ্বিধা নিরসনে ইগো অত্যন্ত কার্যকর।
উপসংহার
ইগো হলো মনোবিজ্ঞান ও ব্যক্তিত্ব বিশ্লেষণের একটি কেন্দ্রবিন্দু, যা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে উদ্ভাসিত বিভিন্ন মনস্তাত্ত্বিক ও সামাজিক চ্যালেঞ্জ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি আমাদের বাস্তবিক চাহিদা এবং সামাজিক পরিবেশের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করে।