আয়তুল কুরসী দুআর বাংলা উচ্চারণ অর্থ ও ফযীলত

হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূল সা. বলেছেন, সূরা বাকারায় একটি শ্রেষ্ঠ আয়াত রয়েছে, যে ঘরে আয়াতুল কুরসী পাঠ করা হবে সেখান থেকে শয়তান পালাতে থাকে। [মুসতাদরাকে হাকিম]। তাই এখনই পবিত্র আয়তুল কুরসীটি মুখস্থ করে নিন।
আয়াতুল কুরসি কুরআনুল কারিমের সবচেয়ে বড় সূরা ‘সূরা আল-বাক্বারার ২৫৫ নং আয়াত’। যা সমগ্র কুরআনের সবচেয়ে বড় আয়াতও বটে। এ আয়াতের রয়েছে অনেক ফজিলত।

আয়তুল কুরসী

بسم الله الرحمن الرجیو

الله لا إله إلا هو الحي القيوم و کاست
ولا كور كما في السماوات وما في الأرض من ذا
الذي يشفع عنده إلا بإذ يخته مابین
أيديهم وما خلقه ولا يحيطون بشي من
عليه إلا بما شاء وسع گزية الاوات والأرض

উচ্চারণ;

আল্লাহু লা-ইলাহা ইল্লা-হুওয়াল হাইয়ুল কাইয়ুম, লা-তা’খুযুহু সিনাতুওঁ ওয়ালা নাউম, লাহু মা-ফিস্সামা ওয়াতি ওয়ামা ফিলআর, মান যাল্লাযী ইয়াশফাউ ইনদাহু ইল্লা-বিয়িযুনিহি ইয়া’লামু মা-বাইনা আইদাহিম। ওয়ামা-খালফাহুম, ওয়ালা-ইউহতুনা বিশাইয়্যিম, মিন ইলমিহী ইল্লা-বিমা- শা-আ, ওয়াসি আ। কুরসিই ঝুঁহুসসামা ওয়াতি ওয়াল আরষা, ওয়ালা ইয়াহূদুহু হিফযুহুমা ওয়াহুওয়াত ‘আলিইয়ূল ‘আযীম

অর্থ:

আল্লাহ ছাড়া কোন মা’বুদ নেই,তিনি চিরঞ্জীব, চিরস্থায়ী, তাকে দ্রিা অথবা। তন্দ্রা স্পর্শ করতে পারে না, আকাশ এবং পৃথিবীতে যা কিছু আছে সবই তার। তাঁর অনুমতি ছাড়া শাফা’আত করার ক্ষমতা কারে নেই। তিনি অবগত আছেন (সৃষ্টির) উপস্থিত ও অনুপস্থিত অবস্থাবলী। তিনি যতটুকু ইচ্ছ। করেন ততটুকু ছাড়া মানুষ তার জ্ঞানের সীমা সম্বন্ধে কিছুই জানে না, তার কুরসী (আসন। আকাশ ও পৃথিবীকে বেষ্টন করে রেখেছে, তিনি সকাল-সন্ধ্যায় পঠিতব্য দু’আ আসমান ও যমীনের দেখাশুনা করতে কিছুমাত্র ক্লান্ত হন না। তিনি উচ্চ মর্যাদাশীল, অতি মহান । -সূরা আল-বাক্বারাহ ঃ ২:২৫৫।।

ফযীলত:

যে ব্যক্তি (সন্ধ্যা বেলা) উক্ত দুআটি পাঠ করে আল্লাহর পক্ষ থেকে তার জন্যে একজন রক্ষক নিযুক্ত থাকেন, ফলে সকাল হওয়া পর্যন্ত শয়তান তার নিকটবর্তী হতে পারে না। – সহীহ্ বুখারী হা/২৩১১, ফাতহুল বারীসহ ৪/৪৮৭

FacebookX
Naiem Islam
Naiem Islam

কাজ কামে বিরতিতে পড়তে ও লেখা লেখি করতে ভালোবাসি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *