Z তত্ত্বের প্রবর্তক হলেন উইলিয়াম জি. ঔসি (William G. Ouchi)। তিনি ১৯৮১ সালে এই তত্ত্বটি প্রদান করেন।
Z তত্ত্ব কি?
Z তত্ত্ব মূলত একটি ব্যবস্থাপনা তত্ত্ব যা জাপানি ব্যবস্থাপনার পদ্ধতি এবং আমেরিকান ব্যবস্থাপনার পদ্ধতির মধ্যে একটি সংমিশ্রণ। এই তত্ত্বটি দীর্ঘমেয়াদী কর্মচারীদের বৃদ্ধি, অনানুষ্ঠানিক নিয়ন্ত্রণ, সমগ্র দলের জন্য সহমর্মিতাবোধ, আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ, ধীরগতির পদোন্নতি এবং একক দায়িত্বের উপর জোর দেয়।
Z তত্ত্বের মূল বৈশিষ্ট্য:
- দীর্ঘকালীন চাকরির স্থায়িত্ব: Z তত্ত্ব অনুসারে, কর্মচারীদের দীর্ঘকালীন চাকরি দেওয়া উচিত। এতে কর্মচারীরা সংস্থার প্রতি আরও বেশি করে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হবে এবং সংস্থার জন্য দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা করতে পারবে।
- অনানুষ্ঠানিক নিয়ন্ত্রণ: Z তত্ত্বে কঠোর নিয়মকানুনের পরিবর্তে অনানুষ্ঠানিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়। এতে কর্মচারীরা নিজেদের মতামত প্রকাশ করতে পারে এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারে।
- সমগ্র দলের জন্য সহমর্মিতাবোধ: Z তত্ত্বে দলগত কাজের উপর জোর দেওয়া হয়। কর্মচারীদের একসাথে কাজ করার এবং একে অপরকে সাহায্য করার জন্য উৎসাহিত করা হয়।
- আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ: Z তত্ত্বে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে সবার মতামত নেওয়া হয়। এতে সিদ্ধান্ত আরও ভালো হয় এবং কর্মচারীরা সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করার অনুভূতি পায়।
- ধীরগতির পদোন্নতি: Z তত্ত্বে কর্মচারীদের দ্রুত পদোন্নতি দেওয়ার পরিবর্তে তাদের ধীরে ধীরে দায়িত্ব দেওয়া হয়। এতে কর্মচারীরা নিজেদের দক্ষতা বৃদ্ধি করতে পারে এবং সংস্থার জন্য আরও ভালো কাজ করতে পারে।
- একক দায়িত্ব: Z তত্ত্বে কর্মচারীদের একক দায়িত্ব দেওয়া হয়। এতে কর্মচারীরা নিজেদের কাজের জন্য দায়ী থাকে এবং তারা নিজেদের কাজের ফলাফলের জন্য দায়ী হয়।
Z তত্ত্বের সুবিধা:
- কর্মচারীদের মধ্যে সন্তোষ বাড়ায়
- কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে
- উদ্ভাবনী শক্তি বৃদ্ধি করে
- কর্মচারীদের টিকিয়ে রাখতে সাহায্য করে
Z তত্ত্বের অসুবিধা:
- সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়া ধীর হতে পারে
- সব ধরনের সংস্থার জন্য উপযুক্ত নাও হতে পারে
উপসংহার:
Z তত্ত্ব একটি জনপ্রিয় ব্যবস্থাপনা তত্ত্ব যা অনেক সংস্থা দ্বারা ব্যবহৃত হয়। এই তত্ত্বটি কর্মচারীদের সন্তুষ্টি এবং কর্মক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করতে পারে। তবে এই তত্ত্বটি সব ধরনের সংস্থার জন্য উপযুক্ত নাও হতে পারে।