“Cavic-C Plus” একটি ঔষধ যা সাধারণত ক্যালসিয়াম ল্যাকটেট গ্লুকোনেট (1000 মি.গ্রা.), ক্যালসিয়াম কার্বোনেট (327 মি.গ্রা.), ভিটামিন সি (500 মি.গ্রা.), এবং ভিটামিন ডি৩ (400 IU) এর সমন্বয়ে গঠিত। এটি একটি এফারভেসেন্ট ট্যাবলেট, যা পানিতে দ্রবীভূত করে খাওয়া হয়। এটি খেলে শরীরে যা হয়, তা নিচে ব্যাখ্যা করা হলো:
উপকারিতা:
- ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ:
এটি শরীরে ক্যালসিয়ামের মাত্রা বাড়ায়, যা হাড় ও দাঁতের শক্তি বজায় রাখতে সাহায্য করে। গর্ভাবস্থা, স্তন্যদান, বৃদ্ধ বয়স বা দ্রুত বৃদ্ধির সময়ে (শৈশব/কৈশোর) ক্যালসিয়ামের চাহিদা বেড়ে গেলে এটি উপকারী। - ভিটামিন ডি৩ এর সুবিধা:
ভিটামিন ডি৩ ক্যালসিয়ামের শোষণে সহায়তা করে এবং হাড়ের স্বাস্থ্য উন্নত করে। এটি অস্টিওপোরোসিস বা হাড়ের দুর্বলতা প্রতিরোধে সহায়ক। - ভিটামিন সি এর প্রভাব:
ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়তে সাহায্য করে এবং ত্বকের জন্য কোলাজেন তৈরিতে ভূমিকা রাখে। এটি সর্দি-কাশি বা ফ্লুতে সহায়ক হিসেবে কাজ করতে পারে। - অস্টিওম্যালেশিয়া ও অন্যান্য অবস্থার চিকিৎসা:
এটি ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি এর ঘাটতি থেকে সৃষ্ট রোগ যেমন অস্টিওম্যালেশিয়া বা রিকেটস প্রতিরোধ ও চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। - শরীরের pH ভারসাম্য:
এটি সিস্টেমিক অ্যাসিডোসিসের ক্ষেত্রে অ্যালকালাইজিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করে।
কখন খাওয়া উচিত?
- গর্ভাবস্থা বা স্তন্যদানের সময়
- বৃদ্ধ বয়সে
- হাড়ের দুর্বলতা বা অস্টিওপোরোসিসে
- ভিটামিন সি ও ডি এর ঘাটতিতে
- সর্দি-কাশি বা ইনফ্লুয়েঞ্জার সহায়ক চিকিৎসায়
সম্ভাব্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া:
- পেটের সমস্যা: কোষ্ঠকাঠিন্য, পেট ফাঁপা, বমি বমি ভাব বা ডায়রিয়া হতে পারে।
- হাইপারক্যালসেমিয়া: অতিরিক্ত ক্যালসিয়ামের কারণে রক্তে ক্যালসিয়ামের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে, যার ফলে মাথাব্যথা, বমি বা ক্লান্তি দেখা দিতে পারে।
- ভিটামিন ডি এর অতিরিক্ত মাত্রা: দীর্ঘমেয়াদে বেশি ডোজে খেলে ত্বকে ফুসকুড়ি বা হাইপারক্যালসেমিয়া হতে পারে।
সতর্কতা:
- চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া খাবেন না।
- যাদের কিডনি সমস্যা বা হাইপারক্যালসেমিয়া আছে, তাদের এড়িয়ে চলা উচিত।
- ডোজ: সাধারণত প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য দিনে ১ টি ট্যাবলেট, ৩-৭ বছরের শিশুদের জন্য অর্ধেক ট্যাবলেট (পানিতে দ্রবীভূত করে)।
সারসংক্ষেপ:
Cavic-C Plus খেলে শরীরে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন সি ও ডি এর ঘাটতি পূরণ হয়, হাড় মজবুত হয়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়। তবে, অতিরিক্ত বা ভুলভাবে খেলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে, তাই চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে খাওয়াই উত্তম।
NB: maneki.info.bd কোনো ডাক্তার নয়