স্টক এক্সচেঞ্জ হল এমন একটি কেন্দ্রীয় বাজার যেখানে কোম্পানির শেয়ার, বন্ড এবং অন্যান্য আর্থিক সিকিউরিটিজ কেনাবেচা হয়। এটি মূলত একটি বাজার যা ক্রেতা ও বিক্রেতাদেরকে একটি প্ল্যাটফর্ম প্রদান করে, যেখানে তারা নির্দিষ্ট শর্তে সিকিউরিটিজের লেনদেন করতে পারে।
একটি সহজ উদাহরণ: ধরুন আপনি একটি কোম্পানির ভবিষ্যৎ সম্পর্কে আশাবাদী এবং মনে করেন যে কোম্পানিটি ভালো করবে। তাহলে আপনি সেই কোম্পানির শেয়ার কিনতে পারেন। অন্যদিকে, যদি আপনি মনে করেন যে কোম্পানিটি ভালো করবে না, তাহলে আপনি সেই শেয়ার বিক্রি করতে পারেন। এই কেনাবেচা প্রক্রিয়াটি স্টক এক্সচেঞ্জে ঘটে।
স্টক এক্সচেঞ্জের গুরুত্বপূর্ণ কাজ:
- মূলধন গঠন: কোম্পানিগুলো স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে জনগণের কাছ থেকে মূলধন সংগ্রহ করে। এই মূলধন ব্যবহার করে তারা ব্যবসা প্রসারিত করতে পারে, নতুন প্রকল্প শুরু করতে পারে ইত্যাদি।
- মূল্য নির্ধারণ: স্টক এক্সচেঞ্জে ক্রেতা ও বিক্রেতার চাহিদা ও সরবরাহের ভিত্তিতে কোনো শেয়ারের মূল্য নির্ধারিত হয়।
- বিনিয়োগের সুযোগ: সাধারণ মানুষ স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে বিভিন্ন কোম্পানিতে বিনিয়োগ করে তাদের অর্থ বাড়াতে পারে।
- অর্থনীতির বৃদ্ধি: স্টক এক্সচেঞ্জ একটি দেশের অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি কোম্পানিগুলোকে বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে এবং বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়িয়ে অর্থনীতিকে জোরদার করে।
বাংলাদেশের প্রধান স্টক এক্সচেঞ্জ: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (DSE)
স্টক এক্সচেঞ্জ সম্পর্কে আরো জানতে আপনি নিম্নলিখিত বিষয়গুলি খুঁজতে পারেন:
- শেয়ার: শেয়ার কী, কিভাবে শেয়ার কিনতে হয়
- বন্ড: বন্ড কী, বন্ড এবং শেয়ারের মধ্যে পার্থক্য
- মার্কেট ক্যাপিটালাইজেশন: কোনো কোম্পানির মূল্য কীভাবে নির্ধারিত হয়
- ইন্ডেক্স: ইন্ডেক্স কী, বিভিন্ন ধরনের ইন্ডেক্স
- ব্রোকার: ব্রোকার কী, ব্রোকার কীভাবে কাজ করে
আপনি যদি স্টক মার্কেটে বিনিয়োগ করতে চান, তাহলে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
