Skip to content

“মৃণালিনী” উপন্যাসটি বাংলার অন্যতম শ্রেষ্ঠ ঔপন্যাসিক বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত একটি ঐতিহাসিক প্রেমকাহিনি। এটি ১৮৬৯ সালে প্রকাশিত হয়। এই উপন্যাসের মূল কাহিনি পৃথ্বীরাজ চৌহান ও মৃণালিনীর প্রেমকে কেন্দ্র করে গঠিত।

উপন্যাসের প্রধান চরিত্রসমূহ:

১. মৃণালিনী

  • উপন্যাসের প্রধান নারী চরিত্র।
  • একজন রাজকন্যা, যিনি অত্যন্ত সুন্দরী, বিদুষী ও সাহসী।
  • পৃথ্বীরাজ চৌহানের প্রেমিকা।

২. পৃথ্বীরাজ চৌহান

  • রাজপুত শাসক এবং দিল্লির শাসনকর্তা।
  • বীর, প্রতাপশালী ও প্রেমিক।
  • মৃণালিনীর প্রতি গভীর প্রেম অনুভব করেন।

৩. মহারাজ সোমেশ্বর

  • মৃণালিনীর পিতা।
  • তিনি তাঁর কন্যার ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত থাকেন এবং পৃথ্বীরাজের প্রতি শঙ্কিত ছিলেন।

৪. জয়চন্দ্র

  • কনৌজের রাজা, পৃথ্বীরাজের প্রতিদ্বন্দ্বী।
  • মৃণালিনীকে পাওয়ার জন্য পৃথ্বীরাজের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেন।
  • মোহম্মদ ঘোরীর সঙ্গে মিলে পৃথ্বীরাজকে পরাজিত করতে চেয়েছিলেন।

৫. মোহাম্মদ ঘোরী

  • ঐতিহাসিক চরিত্র, যিনি ভারত আক্রমণ করেছিলেন।
  • পৃথ্বীরাজ চৌহানের শত্রু।

উপন্যাসের মূল কাহিনি সংক্ষেপ:

এই উপন্যাসে পৃথ্বীরাজ চৌহান ও মৃণালিনীর প্রেমের কাহিনি চিত্রিত হয়েছে। মৃণালিনী একজন বুদ্ধিমতী ও সাহসী নারী, যিনি প্রেমের জন্য আত্মত্যাগ করতেও প্রস্তুত ছিলেন। কিন্তু ইতিহাস ও রাজনীতির জটিলতার কারণে তাদের প্রেমকাহিনি করুণ পরিণতির দিকে গড়ায়।

উপসংহার:

“মৃণালিনী” উপন্যাসটি ঐতিহাসিক পটভূমিতে রচিত বঙ্কিমচন্দ্রের প্রথম রোমান্টিক উপন্যাস। এতে প্রেম, যুদ্ধ, প্রতারণা ও আত্মত্যাগের এক চমৎকার সংমিশ্রণ দেখা যায়।

FacebookX

সময় পেলেই মানেকীতে সাম্প্রতিক ও সাধারণ বিষয়ে লেখা লিখি করি

Comments (0)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back To Top