বিদ্যাসাগর সাট হলো বাংলা বর্ণমালার একটি সংস্কারকৃত রূপ। উনিশ শতকের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, সমাজ সংস্কারক ও লেখক ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর এই সংস্কারটি প্রবর্তন করেন। বিদ্যাসাগর সাটের মাধ্যমে তিনি বাংলা বর্ণমালার স্বরবর্ণ ও ব্যঞ্জনবর্ণ সংখ্যা কমিয়ে আনেন এবং তাদের রূপও সহজতর করেন।
বিদ্যাসাগর সাটের আগে বাংলা বর্ণমালা ছিল মোট ৫০টি বর্ণ বিশিষ্ট। এর মধ্যে ১৬টি স্বরবর্ণ এবং ৩৪টি ব্যঞ্জনবর্ণ ছিল। বিদ্যাসাগর সাটে তিনি এই সংখ্যা কমিয়ে ১২টি স্বরবর্ণ এবং ৪০টি ব্যঞ্জনবর্ণ করেন। এছাড়াও, তিনি কিছু ব্যঞ্জনবর্ণের রূপও পরিবর্তন করেন।
বিদ্যাসাগর সাটের প্রবর্তন বাংলা ভাষার মুদ্রণ ও শিক্ষাক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন। এই সংস্কারের ফলে বাংলা বর্ণমালা আরও সহজবোধ্য ও সুন্দর হয়ে ওঠে। এছাড়াও, এটি বাংলা ভাষার প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
বিদ্যাসাগর সাটের প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলো হলো:
- স্বরবর্ণ সংখ্যা কমিয়ে ১২টি করা হয়।
- ব্যঞ্জনবর্ণ সংখ্যা কমিয়ে ৪০টি করা হয়।
- কিছু ব্যঞ্জনবর্ণের রূপ পরিবর্তন করা হয়।
বিদ্যাসাগর সাট আজও বাংলা বর্ণমালার প্রচলিত রূপ। এটি বাংলা ভাষার মুদ্রণ ও শিক্ষাক্ষেত্রে একটি অপরিহার্য অংশ।
Comments (0)